চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন রানী সরকার

ঢাকাই চলচ্চিত্রের সোনালী দিনের নন্দিত অভিনেত্রী রাণী সরকার। তিনি বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। এ ছাড়া পিত্তথলির পাথর, বাতজ্বর, জটিল কোলেলিথিয়েসিস রোগসহ নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন রাণী সরকার।
রানী সরকারের জন্ম সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ থানার সোনাতলা গ্রামে। তার আসল নাম মোসাম্মৎ আমিরুন নেসা খানম। জীবনের শেষ সময়গুলোতে তিনি তার মৃত ভাইয়ের দুই এতিম সন্তানকে নিয়ে অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছিলেন। শেষ বয়সে এসে তিনি নানা আর্থিক সমস্যায় জড়িয়ে ছিলেন। আর্থিক সমস্যার কারণে ২০১৬ সালে সরকারের পক্ষ থেকে ২০ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়।
মঞ্চনাটকের মাধ্যমে তার অভিনয়ে পথচলা শুরু। একই বছর পা রাখেন বড় পর্দায়। ১৯৫৮ সালে রানী সরকারের চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় এ জে কারদার পরিচালিত ‘দূর হ্যায় সুখ কা গাঁও’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। ১৯৬২ সালে বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার এহতেশামুর রহমান পরিচালিত উর্দু চলচ্চিত্র ‘চান্দা’তে অভিনয় করেন। ২০১৬ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি। আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয় তাকে। ১৯৬২ সালে বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার এহতেশামুর রহমান পরিচালিত উর্দু চলচ্চিত্র ‘চান্দা’তে অভিনয় করেন।
সেই ছায়াছবির পর থেকে তার পিতৃপ্রদত্ত নাম মেরীর বদলে নতুন নাম হয় রাণী সরকার। পরে উর্দু ছায়াছবি তালাশ ও বাংলা ছায়াছবি নতুন সুর-এ কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে অভিনয় করেন। এই ছায়াছবি দুটিও বেশ জনপ্রিয় হয়। এরপর তিনি ২৫০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। একজন নৃত্যশিল্পী হিসেবেও রাণী সরকার জনপ্রিয় ছিলেন।
১৯৬২ সালে তিনি অভিনয় করেন চান্দা সিনেমায়। উর্দু ভাষার এ চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছিলেন এহতেশামুর রহমান। এ সিনেমা করার পর তার নাম হয় রানী সরকার।
বাংলা চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদান রাখা বর্ষীয়সী অভিনেত্রীর প্রতি আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা এবং ভালবাসা।