চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ঘি ব্যবহার করুন

চুলের যত্নে নানা প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে, রয়েছে নানা ঘরোয়া সমাধান। সাধারনত চুলের সমস্যার জন্য হেয়ার এক্সপার্টদের কাছে যেতে হয়। কিন্তু একটু ভাবুন ঘি দিয়ে যদি চুলের পরিচর্যা করা হয় তাহলে কেমন হবে? শুনতে যদিও একটু বিব্রতকর লাগছে কিন্তু এই ঘিয়ের পৃষ্টিগুণ আপনার চুলের উজ্জ্বলতাকে বাড়িয়ে দিতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে।
সৌন্দর্যের জগতেও ঘিয়ের অবাধ বিচরণ। উন্নত পুষ্টিগুণ আর আর্দ্রতার কারণে ত্বক আর চুলের স্বাস্থ্যরক্ষা করতে ঘিয়ের ভূমিকা অতুলনীয়। আসুন দেখে নিই কিভাবে ত্বক আর চুলের সৌন্দর্য ধরে রাখতে ব্যবহার করতে পারেন ঘি।
চুলের সৌন্দর্য রক্ষায় ঘি
চুল রুক্ষ, শুষ্ক, বিবর্ণ হওয়ার একমাত্র কারণ আর্দ্রতার অভাব। চুলে এবং মাথার ত্বকে ঘি মাখলে সে অভাব অনেকটাই পূরণ হয়। একচামচ ঘি নিয়ে হালকা গলিয়ে নিন। এবার তাতে আঙুল ডুবিয়ে স্ক্যাল্প আর চুলে মাসাজ করুন। ঘণ্টাখানেক রেখে ধুয়ে ফেলবেন।
ডিপ কন্ডিশনার হিসেবে
চুলের গভীরে গিয়ে শুষ্কতা দূর করতেও দারুণ কার্যকর ঘি। রাতে সারা চুলে ঘি মেখে শাওয়ার ক্যাপ পরে শুয়ে পড়ুন। সকালে উঠে শ্যাম্পু করে নিলেই বুঝতে পারবেন কতটা পালটে গেছে চুলের টেক্সচার।
চুলের বৃদ্ধিতে
গরম ঘি দিয়ে চুলের গোড়ায় মাসাজ করলে শুধু যে চুলে ডিপ কন্ডিশনিংয়ের উপকার মেলে তাই নয়, চুলের গোড়ায় রক্তসঞ্চালনও জোরদার হয়। তাতে চুল পুষ্টি পায়, দ্রুত বাড়ে এবং ঘনও হয়।
সুস্থ চুলের জন্য ঘিয়ের হেয়ার মাস্ক
- দু’ টেবিলচামচ ঘি আর এক টেবিলচামচ অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন।
- মিশ্রণটা দশ সেকেন্ড মতো গরম করে নিন।
- এবার কয়েকফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন?
- সারা চুলে লাগিয়ে হালকা হাতে মাসাজ করুন।
- শাওয়ার ক্যাপ লাগিয়ে আধঘণ্টা রাখতে হবে। তারপর নরম ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
What's Your Reaction?
আমি সামিরা ইসলাম। ফেমিনাইরা-তে কন্ট্রিবিউটর হিসাবে কাজ করছি। আমার লেখা কিংবা প্রতিবেদন সম্পর্কে কোনও মতামত থাকলে আমার লেখার নিচে কমন্টে করতে পারনে।