সংসার সুখের করতে বাবা-মায়ের পরামর্শ নিন

সংসার সুখের করতে হলে আমাদের সবার আগে আমাদের বাবা-মায়ের নিকট থেকে পরামর্শ নেওয়া উচিত। আপনার যখন বিয়ে হবে, তখন আপনার বয়স কমপক্ষে ২৫-৩০ হওয়ার কথা। তাহলে ভাবুন, আপনার বাবা-মা এতটা বছর একই সাথে কাটিয়ে দিয়েছে কিন্তু তাদের সংসারতো ঠিকই সুখের। তাহলে আপনার সংসার কেন সুখের হবে না? অবশ্যই হবে। সংসারের নানা প্রয়োজনে পরামর্শ নিন বাবা-মায়ের। কেননা সর্ম্পক এবং সংসার এই ২টি শব্দ বাবা-মায়ের থেকে কেউ বেশী জানে না। তাই বন্ধু-বান্ধবী, আত্মীয়-স্বজন কিংবা শুভাকাংকীরদের কাছ পরামর্শ গ্রহণ না করে নিজের বাবা-মায়ের কাছে ছুটে যান, তারাই আপনাকে সংসার সুখের মূলমন্ত্র বলতে পারবে। তারপর আমার বাবা-মায়ের পরামর্শগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম।
প্রেম জরুরি, কিন্তু অপরিহার্য নয়
সম্পর্কে প্রেম আমরা সবাই খুঁজি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রেম বা কামনার বদলে বন্ধুতা বা সাহচর্যের মতো শব্দ জায়গা করে নেয় সম্পর্কের অভিধানে। পাঁচবছর আগে সম্পর্কে কতটা আবেগ ছিল সে বিচার না করে বরং আজকের বন্ধুতাটাকেও উদযাপন করুন।
ধৈর্যই সম্পদ
কোনও সম্পর্কই ত্রুটিহীন নয়। কাজেই কখনও না কখনও আপনার স্বামীর কোনও কাজ, শাশুড়ির আচরণ বা হঠাৎ করে তৈরি হওয়া কোনও পরিস্থিতি আপনাকে মেজাজ হারাতে বাধ্য করবেই। তবে ওই ঘটনাগুলোকে বেশি গুরুত্ব দেবেন না। এই সব পরিস্থিতি আসবে আবার কেটেও যাবে। আনন্দের মুহূর্তগুলো উদযাপন করুন।
কখন আপোস করা দরকার, সে ব্যাপারে সচেতন থাকুন
আমরা সবাই যে যার স্বাধীন শর্তে বাঁচতে চাই, কিন্তু সংসারে থাকতে গেলে মাঝেমধ্যে কিছু আপোসও করতে হয়। এই আপোস কখনও আপনার স্বামী করবেন, কখনও আপনাকে করতে হবে। কখন মাথা নত করবেন, সেটা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে স্থির করতে হবে। মাঝেমধ্যে আপোস করলে সম্পর্কের বাঁধন মজবুতই হয়।
নিজের স্বাধীন জীবন থাকা জরুরি
স্বামী, শ্বশুরবাড়ি আপনার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সন্দেহ নেই। কিন্তু তার পাশাপাশি নিজের স্বাধীন বৃত্ত তৈরি করুন। নিজের পছন্দের কাজ বা শখের জন্য সময় দিন। সম্পর্কে কখনও অস্থিরতা তৈরি হলে এখানেই হাঁফ ছাড়ার জায়গা খুঁজে পাবেন।
স্বামীকে সম্মান করুন
অপেক্ষাকৃত নবীনরা আবেগ আর প্রেমকে সবার উপরে স্থান দেন। বাবা-মাকে জিজ্ঞেস করুন, তাঁরা কিন্তু পারস্পরিক সম্মান আর বন্ধুতাকেই গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলবেন। কারণ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আবেগের জোয়ারে ভাটা পড়ে কিন্তু বন্ধুতা আর সম্মান দীর্ঘস্থায়ী। সম্পর্কে পারস্পরিক সম্মান আর বন্ধুতা থাকলে হাজার প্রতিকূলতাও পেরিয়ে যাওয়া সম্ভব।
পাশে থাকুন
অনেকের কাছে উচ্চকিত ব্যবহার, পরস্পরকে হঠাৎ চমকে দেওয়া, উপহার দেওয়া-নেওয়া, এ সবই প্রেমের প্রকাশ। আসলে কিন্তু দীর্ঘ জীবনের নানা উঁচুনিচু পথে, আপদে-বিপদে পরস্পরের পাশে থাকার নামই প্রেম। পারস্পরিক সাহচর্যের এই বাঁধন সারাজীবন স্থায়ী হয়।
What's Your Reaction?
আমি সামিরা ইসলাম। ফেমিনাইরা-তে কন্ট্রিবিউটর হিসাবে কাজ করছি। আমার লেখা কিংবা প্রতিবেদন সম্পর্কে কোনও মতামত থাকলে আমার লেখার নিচে কমন্টে করতে পারনে।