গৃহপরিচারিকা -কে পরিবারের সদস্য ভাবুন

বিয়ের পর সংসারে বাড়তি ইনকামের জন্য কিংবা আদরের সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অনেক নারীরাই চাকুরী করেন। কর্মজীবি মায়েরা সব সময় সন্তানের খেয়াল রাখতে পারেন না। তাই বেশী ভাগ সময়ই গৃহপরিচারিকার উপর নির্ভর করতে হয়। অনেক সময় শ্বশুর-শাশুগি থাকলেও সন্তানদের দেখাশোনার জন্য গৃহপরিচারিকা প্রয়োজন হয়। আর তাই দিনের বেশিরভাগ সময়টা জুড়ে গৃহপরিচারিকার সাথে কাটাতে হয় সোনামণিদের। একজন দায়িত্বশীল মা হিসাবে আপনি অবশ্যই চাইবেন আপনার সন্তান সবাইকে সমান চোখে দেখুক।
সন্তানের শিক্ষক হয়ে উঠুন
আমরা প্রত্যেকেই জানি একটি শিশুর বেড়ে ওঠার স্তরে তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দু’জন শিক্ষক হলেন তার বাবা ও মা। সন্তানকে একগুচ্ছ জ্ঞান দেওয়ার পরিবর্তে নিজে বাড়ির সহায়কদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন। আপনাকে দেখেই ও শিখবে।
শাসন করার ক্ষমতা দিন
আপনার সন্তান যদি দিনের আট থেকে নয় ঘণ্টা গৃহপরিচারিকা তত্ত্বাবধানে থাকে, তাহলে তাঁকে সন্তানকে শাসন করারও অধিকার দিন।এতে গৃহপরিচারিকাও নিজের দায়িত্ব বুঝবে৷ সন্তানও বুঝবে বাবা মার অনুপস্থিতিতে তাকে শাসন করার জন্য কেউ আছে।
সামাজিক স্তর বিন্যাস বোঝান
লজ্জাজনক হলেও এই কথাটা স্বীকার করতে বাধা নেই যে বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে ভীষণভাবে শ্রেণীবৈষম্য বর্তমান। এগুলো বাচ্চাকে আস্তে আস্তে বোঝান। তা হলে সে শিখবে কার সঙ্গে কেমন ব্যবহার করতে হয়।