Now Reading
রোদের তীব্রতা থেকে ত্বকের সুরক্ষায় অবশ্যই ব্যবহার করুন সানস্ক্রিন ক্রিম

রোদের তীব্রতা থেকে ত্বকের সুরক্ষায় অবশ্যই ব্যবহার করুন সানস্ক্রিন ক্রিম

রোদের তীব্রতা থেকে ত্বকের সুরক্ষায় অবশ্যই ব্যবহার করুন সানস্ক্রিন ক্রিম

সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করা খুবই জরুরি। কেননা নারীদের ত্বক এত সংবেদনশীল থাকে যেখানে রোদের তাপ কিন্তু এ্যালাজি সহ নানাবিধ সমস্যা ঘটাতে পারে যা আপনার ত্বকের জন্য মারাত্মক খারাপ হবে। গ্রীষ্মসহ সব ঋতুতেই সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করা জরুরি। কিন্তু, অনেকেই এ বিষয়ে সচেতন নন। তারা মনে করেন যে, শুধু গ্রীষ্মকালে সানস্ক্রিন ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করা যায়। কিন্তু এ ধারণা ভুল।

প্রখর সূর্যালোক আমাদের ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। সূর্যরশ্মিতে রয়েছে ইউভি-এ, ইউভি-বি, ইউভি-সি। ইউভি-এ ও ইউভি-বি যা ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে এবং ত্বকে নানা ধরনের ক্ষতি করে। সানস্ক্রিন ক্রিমে রয়েছে জিঙ্ক অক্সাইড ও টাইটেনিয়াম অক্সাইডসহ কিছু রাসায়নিক পদার্থ। এসব উপাদান সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মিকে ত্বকে প্রবেশে বাধা দেয়। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সূর্যের প্রখর রশ্মি আমাদের ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। আকাশ মেঘলা থাকলেও প্রতিদিন বাইরে যাওয়ার আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। অনেকক্ষণ বাইরে থাকতে হলে ২ ও ৩ ঘন্টা পরপর পুনরায় ব্যবহার করতে হবে। মেকআপ করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় স্ক্রিন খেয়ার ব্যবহারের পর সানস্ক্রিন ত্বকে লাগাতে পারেন।

সানস্ক্রিন কেনার সময় এসপিএফ (সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর) দেখে নিতে হবে। সানস্ক্রিন মেখে ত্বক কতক্ষণ সূর্যের আলো থেকে সুরক্ষিত থাকবে, তার হিসেবে এসপিএফ থেকে পাওয়া যায়। এসপিএফ-৩০ থেকে এসপিএফ -৫০ পর্যন্ত ব্যবহার করা ভাল।

হ্যাঁ, সানস্ক্রিন সম্পর্কে কিছু কথা বললাম। এখন রোদ প্রতিরোধ থেকে কিছু করণীয় বলবো।

গ্রীষ্মকালে বাইরে প্রচুর রোদ থাকে। আর এসময় আবহাওয়া থাকে অনেক গরম। সাবধানতা অবলম্বন না করলে সূর্যের অতি বেগুনী রশ্মি আমাদের ত্বকে ভীষণ ক্ষতি করতে পারে।

সুতরাং, কোন সময়টা বাইরে যাওয়ার জন্য ভাল এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়, সেটি নির্ধারণ করা উচিত। এক্ষেত্রে একটি কথা বলতে চাই, গ্রীষ্মকালে দুপুরে বাইরে যাওয়া ঠিক নয়। সেক্ষেত্র যদি কোনো উপায় না থাকে, তাহলে আপনি শরীরে সানস্ক্রিন মাখুন। সেই সঙ্গে ঢিলেঢালা জামা পড়ুন। এটি ত্বকের জন্য খুবই ভালো।

অতিরিক্ত রোদে ত্বক পুড়ে যাবার আশঙ্কা থাকে বেশি, আর এ থেকে ত্বকে বিভিন্ন সমস্যাও সৃষ্টি হতে পারে।

তাহলে ত্বক রক্ষার জন্য আমাদের ভালোমতো সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ, আমরা সৌন্দর্য ধরে রাখতে চাই আর সেটি সবার সামনে প্রকাশও করতে চাই, তাই না?

আরেকটি বিপদের কথা বলতে চাই, ত্বকের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সাবধান না হলে ত্বকে ক্যান্সারও হতে পারে। অতএব, ত্বকের যত্ন নিতে চেষ্টা করুন। ত্বক সুস্থ হলে, আমরা সুস্থ ও সুখী জীবন কাটাতে পারবো।

হ্যাঁ, ঠিক বলেছেন, রোদের তাপ প্রতিরোধ ও তাপ হ্রাসে ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। আচ্ছা তৌহিদ, আপনি কোন রঙের কাপড় বেশি পছন্দ করেন?

তবে, ভিন্ন ভিন্ন রঙের কাপড় ভিন্ন ভিন্ন ঋতুতে পড়ার সুবিধা রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রীষ্মকালে গাড় লাল বা কালো রঙের কাপড় পড়া উচিত নয়। কারণ, এ রঙের কাপড় সূর্যালোক থেকে বেশিমাত্রায় তাপ শোষণ করে। ফলে শরীরে বেশি গরম অনুভূত হয়।

তাহলে গ্রীষ্মকালে আমরা কি রঙের কাপড় পড়বো? বা এই সময়ে আমাদের কি রঙের কাপড় পড়া উচিত?

সাদা রঙের কাপড় পড়া ভালো। সাদা রঙের কাপড়ে সূর্যালোক একটা নির্দিষ্ট মাত্রায় প্রতিফলিত হয়। ফলে এ কাপড় তুলনামূলকভাবে কম তাপ শোষণ করে। তৌহিদ? আপনি সাদা রঙের কাপড় পছন্দ করেন? আমি কিন্তু অনেক পছন্দ করি। আমি মনে করি, বেশিরভাগ মানুষই এ রঙ পছন্দ করেন, তাইনা? তা ছাড়া, সব রঙের মিশ্রণ হচ্ছে সাদা। সাদা পোশাকে মানুষকে অনেক সুন্দর, অনেক পবিত্র লাগে। সাদা কাপড় পড়া একটি সুন্দরী মেয়েকে আমার কাছে মনে হয় ‘স্নো হোয়াইট’ বা তুষারাবৃত কন্যা। অবশ্য সাদা রঙের কাপড় সহজেই ময়লা হয়। এটা একটা সমস্যা।

আচ্ছা, কাপড়ের রঙ নিয়ে আমরা তো অনেক কথাই বললাম, তাইনা? এবার আরেকটি কথা বলতে চাই, গ্রীষ্মকালে আমাদের শরীর থেকে তুলনামূলকভাবে বেশি ঘাম ঝরতে দেখা যায়, ফলে শরীরে প্রয়োজনীয় লবণের পরিমাণও হ্রাস পায়। সুতরাং, গ্রীষ্মকালে বেশি বেশি পানি পান করা শরীরের সুস্থতার জন্য খুবই কল্যাণকর।

What's Your Reaction?
Excited
0
Happy
0
In Love
0
Not Sure
0
Silly
0
View Comments (0)

Leave a Reply

Scroll To Top