Now Reading
মাসিক কি এবং কেন মাসিক হয়?

মাসিক কি এবং কেন মাসিক হয়?

মাসিক সংক্রান্ত

মাসিক সংক্রান্ত বিবিধ বিষয়ে আজকে আমাদের নিবন্ধটি আপনাকে সাহায্য করবে মাসিক কী, মাসিক সংক্রান্ত সমস্যার লক্ষণ ও উপসর্গ। সেইসাথে মাসিক সম্পর্কিত নানা বিষয়ের মধ্যে মাসিক লক্ষণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি। মাসিক পিরিয়ড আমাদের নারীর শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। প্রাকৃতিকভাবেই মাসিক শুরু হয় আবার নির্দিষ্ট সময় পর মাসিক বন্ধও হয়ে যায়।

মাসিক কি এবং কেন মাসিক হয়?

নারীদের প্রজনন প্রক্রিয়ারটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হচ্ছে মাসিক। ডিম্বাশয় থেকে বহির্গত হবার নালী, জরায়ু, এন্ডোমেট্রিয়াম এবং যোনির সমন্বয়ে তৈরী প্রজনন অঙ্গ তলপেটে। মাসিক চক্রের সময় নারীর শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে হরমোন বাহির হয়।

এই নিঃসৃত হরমোন নারীর শরীরকে গর্ভবস্থার জন্য তৈরি ও নিয়ন্ত্রণ করে। সাধারণত, প্রতি ২৮ দিন পরপর ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিঃসৃত হয়, যা জরায়ুর দুই পাশের নালী দিয়ে জরায়ুর মধ্যে প্রবেশ করে।

গর্ভধারণ না করলে, অনিষিক্ত ডিম্বাণু এবং জরায়ুর আবরণ একত্রে প্রত্যেক চক্রে শরীর থেকে ঝরে যায়। একেই মাসিক তৈরী হওয়া বলা হয় অর্থাৎ এই প্রাকৃতিক পদ্ধতিকে মাসিক বলা হয়।

আরো পড়ুন: অনিয়মিত মাসিক হবার কারণ

মাসিক শুরু হওয়ার সময়কাল?

নারীর শরীরে প্রজনন প্রক্রিয়া শুরু সাধারণত কিশোরী বয়সে। অর্থাৎ ১০-১৬ বছরের মধ্যে মাসিক শুরু হয়। কিছু কিছু কিশোরীর ৯বছর বয়েস শুরু মাসিক শুরু হতে পারে। আবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১৬ প্রথম মাসিক হয়। তবে সাধারণত বেশিরভাগ কিশোরীর মাসিক শুরু হয় ১২ বছর বয়সে।

মাসিক একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া নারী দেহে। সুতরাং অতিরিক্ত মাসিক কিংবা মাসিক অনিয়মিত হলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু মাসিক যেহেতু একটি সাধারণ এবং স্বাভাবিক প্রক্রিয়া সেহেতু মাসিক কোনও রোগ নয়।

What's Your Reaction?
Excited
0
Happy
0
In Love
0
Not Sure
0
Silly
0
View Comments (0)

Leave a Reply

Scroll To Top