সেরা রন্ধনশিল্পী-২০১৮’ প্রতিযোগিতার কার্যক্রম শুরু হয়েছে

দেশের সুপ্ত রন্ধনশিল্প প্রতিভা অন্বেষণের লক্ষ্যে টিভি রিয়্যালিটি শো ‘মিজান পাম অলিন সেরা রন্ধনশিল্পী-২০১৮’ প্রতিযোগিতার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেডের ‘মিজান’ ফর্টিফাইড পাম অলিনের পৃষ্ঠপোষকতায়, ভ্রমণবিষয়ক পাক্ষিক দি বাংলাদেশ মনিটর এবং জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল এটিএন বাংলা রিয়্যালিটি শো পরিবেশন করছে।
অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে সপ্তাহে একটি করে মোট ১৩টি পর্বে এটিএন বাংলায় রিয়্যালিটি শো সম্প্রচারিত হবে। এর কার্যক্রম উদ্বোধন উপলক্ষে ৯ আগস্ট রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন দি বাংলাদেশ মনিটর সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম, এটিএন বাংলার প্রধান উপদেষ্টা এম. শামসুল হুদা এবং সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তাশিক আহমেদ, ন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ পারভেজ এ. চৌধুরী, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেডের বিপণন ব্যবস্থাপক ফয়সাল মাহমুদ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে টিভি রিয়্যালিটি শোর জন্য সারা দেশ থেকে আগ্রহী রন্ধনশিল্পীদের কাছে এন্ট্রি আহ্বান করা হয়েছে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আগামী ২০ অক্টোবর, ২০১৮-এর মধ্যে এন্ট্রি পাঠাতে হবে। এন্ট্রি পাঠানোর ঠিকানা, দি বাংলাদেশ মনিটর, সিটি হার্ট (১০ম তলা), ৬৭ নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০।
[email protected] ই-মেইলেও এন্ট্রি পাঠানো যাবে।
প্রতিটি এন্ট্রিতে চারজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে পরিবেশনযোগ্য বাংলাদেশি মেইন ডিশের একটি রেসিপি, প্রতিযোগীর নাম, পাসপোর্ট সাইজ ছবি, বিভাগের নামসহ পূর্ণ যোগাযোগ ঠিকানা ও তথ্য থাকতে হবে। একজন প্রতিযোগী একাধিক এন্ট্রি পাঠাতে পারবেন।
৮টি বিভাগের প্রতিযোগীরা মোট ৪টি অঞ্চল থেকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন। প্রাপ্ত রেসিপির ভিত্তিতে একটি অভিজ্ঞ জুরি কমিটি প্রতিটি অঞ্চল থেকে ৬ জন করে প্রতিযোগীকে রিয়্যালিটি শোতে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন। রন্ধন ও পরিবেশনাশৈলী, পুষ্টিজ্ঞান এবং অন্যান্য বিবেচনায় শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগীরা পরবর্তী পর্বগুলোতে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।
বিভিন্ন পর্বে এলিমিনেশনের পর অবশিষ্ট শ্রেষ্ঠ চারজন প্রতিযোগী শেষ তিনটি পর্বে বিভিন্ন থিমের ওপর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। গালা রাউন্ডে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। সেরা রন্ধনশিল্পী পুরস্কার হিসেবে পাবেন ৩ লাখ টাকা, দুজনের জন্য ঢাকা-দুবাই-ঢাকা এয়ার টিকিট। রানারআপ পাবেন ১ লাখ টাকা। এ ছাড়া একজন প্রতিযোগীকে পুষ্টিজ্ঞানের জন্য সম্মানজনক ‘অধ্যাপিকা সিদ্দিকা কবীর ট্রফি’ দেওয়া হবে।