চুলের ৪ ধরনের সমস্যা কমাবে ঘরোয়া হেয়ার মাস্ক

চুলের কিছু না কিছু সমস্যা সারা বছর লেগে থাকে না, এমন ভাগ্যবতীর সংখ্যা খুবই বিরল! শুষ্ক চুল, ডগাফাটা চুল, চুল ওঠা, রুক্ষ চুল, খুসকি – কিছু না কিছু থাকবেই! সুখের কথা, সমস্যা যেমন রয়েছে, তেমনি তার সমাধানও রয়েছে। তেমনই কিছু সাধারণ সমাধান রইল আপনাদের জন্য। প্রয়োগ করুন আর ঝটপট মুক্তি পান চুলের যাবতীয় সমস্যার হাত থেকে!
শুষ্ক চুল
শুষ্ক নিষ্প্রাণ চুল বশে আনতে আপনার দরকার হট অয়েল ট্রিটমেন্টের আদর। দু’ টেবিলচামচ আমন্ড অয়েল, দু’ টেবিলচামচ অলিভ অয়েল, দু’ টেবিলচামচ জোজোবা অয়েল আর দু’ টেবিলচামচ নারকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে হালকা গরম করে নিন। তারপর চুলে ভালো করে তেলটা মেখে তোয়ালে দিয়ে জড়িয়ে রাখুন। আধ ঘণ্টা পর কোমল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
রুক্ষ, বিবর্ণ চুল
আপনার চুলের সমস্যার মূল কারণ আর্দ্রতার অভাব। একটা পাকা কলা নিন, সঙ্গে দরকার দু’ টেবিলচামচ টক দই আর এক টেবিলচামচ মধু। সব কিছু একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। চুল ভিজিয়ে নিয়ে জলটা চিপে ফেলে ভেজা চুলে স্ক্যাল্প থেকে চুলের ডগা পর্যন্ত এই মাস্ক লাগিয়ে রাখুন। ইচ্ছে করলে শাওয়ার ক্যাপ বা তোয়ালে দিয়ে চুলটা ঢেকে রাখতেও পারেন। আধ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন।
ডগাফাটা চুল
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আপনার চুলের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। চুলের দৈর্ঘের উপর নির্ভর করে চার পাঁচটা ফিশ অয়েল ক্যাপসুল কেটে তেল বের করে নিন। তার সঙ্গে দু’ টেবিলচামচ নারকেল তেল আর চার থেকে পাঁচ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল মেশান ও হালকা গরম করে নিন। তেলটা একটা বড়ো বাটিতে ঢেলে চুলের ডগা সেই তেলে ডুবিয়ে নিন এবং একমিনিট রেখে পুরো চুলে তেলটা মাসাজ করে নিন। তবে চুলের গোড়ায় বা স্ক্যাল্পে মাসাজ করবেন না। তোয়ালে বা শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে চুলটা আধ ঘণ্টা ঢেকে রাখুন। তারপর ভালো করে শ্যাম্পু করে নিন।
চুল ওঠা
চুল ওঠা বন্ধ করতে দরকার পর্যাপ্ত পুষ্টি। একটা ডিমের কুসুম, এক চাচামচ ক্যাস্টর অয়েল আর দু’ চাচামচ মধু মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। স্ক্যাল্পে এই মিশ্রণটা মাসাজ করুন, তারপর চুলেও আগাগোড়া লাগিয়ে নিন। এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিন।
খুসকি
সারা বছরই খুসকির উপদ্রব লেগেই থাকে চুলে? চার টেবিলচামচ অ্যালোভেরা জেল আর দু’ তিন ফোঁটা ইউক্যালিপটাস এসেনশিয়াল অয়েল নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। স্ক্যাল্প, চুলের গোড়া আর গোটা চুলে ভালো করে মেখে নিন। মোটামুটি আধ ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা মিশ্রণটা লাগিয়ে রাখতে হবে। তারপর ঠান্ডা অথবা হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।