সন্তানের নিরাপদ ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে সঞ্চয় হোক প্রতিমাসে

সন্তানদের সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে আপনার প্রয়োজন হবে টাকা। সন্তানের লেখাপড়ার খরচ সহ নানাবিধ খরচ দিন দিন বাড়তে থাকবে। তাই এখন থেকেই টাকা জমাতে শুরু করুন সন্তানের জন্য। চলুন দেখে নেওয়া যাক; কিভাবে সন্তানের জন্য ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করবেন।
ধারাবাহিকতা বজায় রাখা দরকার
হঠাৎ করে বিরাট টাকা বিনিয়োগ করতে অসুবিধা হতে পারে, কিন্তু অল্প অল্প করে জমাতে আরম্ভ করলে তেমন কোনও সমস্যা হয় না৷ প্রতি মাসে ৫হাজার টাকা সরিয়ে রাখতে আরম্ভ করুন৷ এতে পকেটের উপর হঠাৎ করে বেশি চাপও পড়বে না, আবার ধীরে ধীরে বেশ মোটা টাকা জমতেও থাকবে আপনার একাউন্টে
পুরোনো পদ্ধতিগুলো বাতিল করবেন না
যে কোনও ইনভেস্টমেন্ট অপশন বাছার আগে কয়েকটা বিষয় সম্পর্কে খুব ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কতদিনের জন্য টাকাটা লক-ইন করবেন হচ্ছে তার মধ্যে এক নম্বর, তার পর থাকবে আপনার লক্ষ্য ও ঝুঁকি নেওয়ার সদিচ্ছার মতো বিষয়গুলি। যাঁরা খুব ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগের মধ্যে যেতে চান না, তাঁরা সনাতন বিনিয়োগ পদ্ধতির মধ্যে থেকে পছন্দসইটি বেছে নিন। পিপিএফ, ফিক্সড ডিপোজ়িট বা রেকারিং ডিপোজ়িট হচ্ছে এ ক্ষেত্রে আদর্শ। সন্তানের জন্মের পর পরই তার নামে একটি পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে পারেন। কোনও পরিস্থিতিতেই এই টাকায় ১৫ বছরের আগে হাত দেওয়া যায় না। তাই ইচ্ছে হলেই টাকাটা খরচ করার কোনও উপায় নেই।
ঝুঁকি নিলে ভালো ফল পাবেন
কম সময়ের মধ্যে বেশি রিটার্ন পাওয়ার স্বপ্ন দেখেন? তা হলে কিন্তু ঝুঁকি না নিয়ে কোনও উপায় নেই। এই পরিস্থিতিতেই মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা আদর্শ। মিউচুয়াল ফান্ড হচ্ছে ইকুইটি লিঙ্কড সেভিং স্কিম। ব্যালেন্সড মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা রাখা অপেক্ষাকৃত নিরাপদ।
কীভাবে প্রিমিয়াম দেওয়া হবে ভাবুন
এমন অনেক পলিসি আছে, যেগুলো হঠাৎ করে অভিভাবকের মৃত্যু হলে বাকি প্রিমিয়াম মকুব করে দেয়, পলিসি কিন্তু চলতে থাকে নিজের নিয়মে। এই ধরনের পলিসি কিনে রাখুন। অবশ্যই এজেন্টের কাছ থেকে পলিসি সংক্রান্ত সব খুঁটিনাটি বুঝে নেবেন। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই বাচ্চাদের পলিসিতে নানা অ্যাডিশনাল কস্ট ধরা থাকে। লম্বা সময়ের জন্য ডিপ ডিসকাউন্ট বন্ডও কিনে রাখতে পারেন। এই বন্ডগুলো এমনভাবে কিনুন যাতে বাচ্চার সাবালক হওয়ার সময় ম্যাচিওরিটি হয়। যে বছর টাকা তুলবেন সে বছরের ইনকাম ট্যাক্স দিতে হবে, সেটা মনে রাখবেন কিন্তু।
What's Your Reaction?
আমি সামিরা ইসলাম। ফেমিনাইরা-তে কন্ট্রিবিউটর হিসাবে কাজ করছি। আমার লেখা কিংবা প্রতিবেদন সম্পর্কে কোনও মতামত থাকলে আমার লেখার নিচে কমন্টে করতে পারনে।