অফিসে যাওয়ার পোশাক নিয়ে কার্যকর টিপস

খুব ক্যাজ়ুয়াল পোশাক পরে অফিসে গিয়ে নিজেই লজ্জায় পড়ে গিয়েছেন? কিছুতেই বুঝতে পারছেন না ঠিক কোন কোন পয়েন্ট মাথায় রেখে আপনার অফিসে যাওয়ার পোশাকের আলমারি সাজিয়ে তোলা উচিত? আপনার জন্য রইল কয়েকটি সহজ টিপস৷
শাড়ি, সালোয়ার কুর্তা দুটোই ফরমাল ওয়্যার হিসেবে স্বীকৃত৷ অফিসে ইন্টারভিউ দিয়ে যাওয়ার সময় বা উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে মিটিং থাকলে স্বচ্ছন্দে ভারতীয় পোশাক পরে যাওয়া যায়৷ তবে এড়িয়ে চলুন লেহেঙ্গা স্কার্ট বা ক্রপ টপ বা কোনও ফিউশনের কম্বিনেশন৷ সেই অর্থে কোনও ড্রেস কোড না থাকলে জিনস পরতেই পারেন, তবে অফিসে লো ওয়েস্ট বা রিপড জিনস পরার দরকার নেই৷ ঢিলেঢালা বয়ফ্রেন্ড জিনস বা স্কিন টাইস জিনস পরুন, তবে সঙ্গের টপটি যেন খুব সাহসী না হয়৷ শর্টস, মিনি স্কার্ট তোলা থাক শনি আর রবিবারের জন্যই৷
ব্লেজ়ার: ব্লেজ়ার কেনার আগে কয়েকটা ব্যাপার খেয়াল রাখবেন৷ কাঁধের কাছে ফিটিংটা ঠিক আছে কিনা সেটা সবার আগে দেখতে হবে৷ কাঁধ আর বগলের কাছটা যেন একেবারেই কুঁচকে না থাকে৷ অনলাইনে না কিনে ব্লেজ়ার দোকানে গিয়ে একবার ট্রায়াল দিয়ে তবেই কিনুন৷ পরার পর দুটো হাত বার কয়েক ঘুরিয়ে দেখে নেবেন মুভমেন্টে কোনও বাধা সৃষ্টি হচ্ছে কিনা৷ ব্লেজ়ারের হাতার ঝুল হবে আপনার কবজি পর্যন্ত৷ লম্বা ব্লেজ়ার ট্রাউজ়ার্সের সঙ্গে আর খাটো ব্লেজ়ার স্কার্টের সঙ্গে পরা উচিত৷
ট্রাউজ়ার্স: ট্রাউজ়ার্সের উপর থেকে প্যান্টি লাইন দেখা যাচ্ছে? পরেরবার থেকে আপনাকে আরও এক সাইজ় বড়ো প্যান্ট কিনতে হবে৷ যাঁদের কোমর খুব সরু আর নিতম্বের কাছটা বেশি চওড়া, তাঁরা এমন প্যান্ট কিনুন যার হিপের ফিটিংটা ঠিক হয়েছে, কোমরটা পরে অল্টার করিয়ে নিন৷ প্যান্ট শেষ হবে আপনার জুতোর উপর, তার হেমলাইন যেন মাটিতে ঘষা না খায়৷
স্কার্ট: ভালো ফিটিংয়ের ফরমাল স্কার্ট পরে হাঁটাচলায় কোনও অসুবিধে হওয়ার কথা নয়৷ নাভির কাছে বা তার চেয়ে একটু নিচ থেকে স্কার্ট শুরু হওয়ার কথা৷
খেয়াল রাখবেন:
বাটন ডাউন শার্টের দুই বোতামের মাঝের ফাঁকটা যেন বিচ্ছিরিভাবে দেখা না যায়৷
ব্লাউজ় বা টপের নেকলাইন যেন খুব বিপজ্জনকভাবে গভীর না হয়, ব্রা বেরিয়ে থাকাটাও দেখতে খুব খারাপ লাগে৷
What's Your Reaction?
আমি সামিরা ইসলাম। ফেমিনাইরা-তে কন্ট্রিবিউটর হিসাবে কাজ করছি। আমার লেখা কিংবা প্রতিবেদন সম্পর্কে কোনও মতামত থাকলে আমার লেখার নিচে কমন্টে করতে পারনে।