Now Reading
ট্রান্স ফ্যাট কি এবং স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর কেন?

ট্রান্স ফ্যাট কি এবং স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর কেন?

ট্রান্স ফ্যাট.. তা ক্ষতিকারকই বা কেন

ট্রান্স ফ্যাট কাকে বলে? অনেকের মনে নানা ধরনের প্রশ্ন এই ট্রান্স ফ্যাট নিয়ে। কিন্তু একটি বিষয়ে মোটামুটি সকলেই একমত হন৷

ট্রান্স ফ্যাট কাকে বলে?

ট্রান্স ফ্যাট বা ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড সাধারণত প্রকৃতিতে পাওয়া যায় না এবং এদের হাইড্রোকার্বন চেনের ডাবল বন্ডই হচ্ছে সমস্যার মূল কারণ৷ এই ডাবল বন্ড হাইড্রোকার্বন আপনার শরীর ভাঙতে পারে না, তা রক্তে রয়ে যায়৷ একমাত্র এইচডিএল কোলেস্টেরল বা হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিনই পারে এর থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে৷ এইচডিএল মূলত রক্ত থেকে অন্য সব ক্ষতিকারক ফ্যাট সরিয়ে দেয়, যাতে তা কোনওভাবেই লিভার বা কোনও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ পর্যন্ত পৌঁছতে না পারে৷ রক্তবাহী ভেসেলের ভিতরের দেওয়াল পাতলা রাখতেও তা সাহায্য করে৷ এবার বেশিরভাগ এইচডিএল যদি ট্রান্স ফ্যাট সরাতেই খরচ হয়ে যায়, তা হলে আপনার রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে পারে, চড়তে পারে রক্তচাপ৷ প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন মন্দার বাজারে সস্তায় ভোজ্য স্নেহপদার্থের জোগান দেওয়ার জন্য হাইড্রোজেনেটেড তেল তৈরি হয়েছিল৷ তার পর ক্রমশ তার ব্যবহার বাড়তে আরম্ভ করে৷ 1980 নাগাদ এর ক্ষতিকারক দিকগুলো সামনে আসে এবং তার পর থেকেই মার্জারিন, বনস্পতির মতো হাইড্রোজেনেটেড ফ্যাট ব্যবহারে রাশ টানার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷

কোন কোন খাবার সবচেয়ে ক্ষতিকারক?

বাজারজাত যে কোনও ডুবো তেলে মুচমুচে করে ভাজা খাবার হচ্ছে ট্রান্স ফ্যাটে ভরা৷ সাধারণত হাইড্রোজেনেটেড তেলেই তা ভাজা হয়, একবার ব্যবহারের পর যে বাড়তি তেল থাকে, সেটা লাগাতার ব্যবহার করা হয়৷ পুরোনো তেল ফেলে দেওয়া হয় না৷ আলুর চিপস, তেলেভাজা, শিঙাড়া, জিলিপি, কচুরি, পকোড়া, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, বার্গার ইত্যাদি খাওয়ার একান্ত ইচ্ছে হলে বাড়িতে খেতে পারেন৷ ব্যবহার করুন নারকেল, তিল বা অলিভের মতো কোল্ড প্রেসড প্রাকৃতিক ভোজ্য তেল৷

মার্জারিন বাদ দিন এখনই, তার চেয়ে নিয়ন্ত্রিত মাত্রার মাখন বা ঘি অনেক ভালো৷ বিস্কিট এবং ক্র্যাকারেও ট্রান্স ফ্যাট থাকে, থাকে কেক মিক্স আর আইসিংয়েও৷ বাড়িতে কেক তৈরি করে নিন, মাখন দিয়ে আইসিং তৈরি করতে পারেন৷ আর একটি ক্ষতিকারক বস্তু হচ্ছে পাই ক্রাস্ট এবং প্যাটিজ়ের মোড়ক৷ পারলে এগুলি এড়িয়ে চলুন পুরোপুরি৷ ডেয়ারি ফ্রি দুধ বা ক্রিম জাতীয় কোনও বস্তু ব্যবহার করেন? খুব সাবধান, এগুলিও হাইড্রোজেনেটেড ফ্যাটে পূর্ণ৷ যাঁদের দুধে অ্যালার্জি আছে, তাঁরা আমন্ড বা কাজু থেকে তৈরি দুধ ব্যবহার করুন৷

প্রাকৃতিক ফ্যাটের জোগান অব্যাহত রাখুন

আমন্ড, কাজু, পেস্তা, চিনেবাদামের মতো বাদাম রাখুন খাদ্যতালিকায়৷ নারকেল, তিলের মতো কোল্ড প্রেসড তেলও খুব ভালো৷ চলতে পারে ঘি৷ চলবে নারকেল, বাদাম আর কুমড়ো, চিয়া বা সূর্যমুখির বীজ৷ দুধ, দই মাখন, চিজ়, ডার্ক চকোলেটও চলবে৷ প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ঠিক কতটা ফ্যাট রাখতে পারেন, সে সম্পর্কে একবার পুষ্টিবিদের সঙ্গে কথা বলে নিন অবশ্যই৷

What's Your Reaction?
Excited
0
Happy
0
In Love
0
Not Sure
0
Silly
0
View Comments (0)

Leave a Reply

Scroll To Top