ত্বকের ৬টি অস্বস্তিকর সমস্যা বিয়ের আগে সারিয়ে ফেলুন

বিয়ের ঘন্টা বেজে গেছে? মুখের সৌন্দর্য নিয়ে চিন্তিত হওয়ার আগেই দেখে নিয়ে ত্বকের সাধারন ৬টি সমস্যা। নববধূর সাজে আপনাকে যেন কোনও রাজকন্যার মত দেখায়। তবে তার আগে সারিয়ে ফেলুন ত্বকের ৬ সাধারণ অথচ অস্বস্তিকর সমস্যা।
ব্রণ এবং অ্যাকনের দাগ
ব্রণ এবং অ্যাকনের দাগ কিন্তু বিশেষ এই দিনটিতে আপনার লুককে একেবারে মাটি করে দিতে পারে। যদি আপনার ত্বকে ব্রণ বা অ্যাকনে বেশি হওয়ার প্রবণতা থাকে, তাহলে আগেই কোনও ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নিয়ে রাখুন। প্রতিদিনের খাওয়াদাওয়ার দিকেও কিন্তু অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। মনে রাখবেন, বেশি তেল জাতীয় খাবার, হজমের গোলমাল ব্রণ এবং অ্যাকনের বড়ো একটা কারণ। এমনকী মাথায় খুশকি থাকলেও ব্রণ এবং অ্যাকনের সমস্যা বাড়ে। বিশিষ্ট রূপচর্যা বিশেষজ্ঞ রুবি বিশ্বাস তো বলেন, সারা দিনে অন্তত দু’লিটার জল খান। দিনের শুরুটা করুন কমপক্ষে তিন গ্লাস ঈষদুষ্ণ জল খেয়ে।
ট্যানিং এবং আনইভ্ন টোন
হাতে, মুখে ট্যানিং এবং আনইভ্ন স্কিনটোন কিন্তু খুব সাধারণ একটা সমস্যা। সানস্ক্রিন ছাড়া রোদ্দুরে বেরলেই হয়। এর মোকাবিলায় আলুর রস, পাতিলেবুর রস খুব কাজে আসে। অবশ্য আপনি চাইলে লেসার থেরাপিও করাতে পারেন। ত্বকের দূষণ এবং ট্যান কমে যাবে। ত্বকে নিয়মিত শশা, টমেটোর রস লাগালেও এই সমস্যা কমে যায়।
ডার্ক সার্কল
স্ট্রেস, দীর্ঘ সময় কাজ করা, সঠিক ঘুমের অভাব ইত্যাদি কারণের জন্যে চোখের নীচে দেখা যায় ডার্ক সার্কল। বিয়ের দিন মেক আপের সময় আপনি কনসিলার দিয়ে একে ঢাকতেই পারেন, তবে সবচেয়ে ভালো হল ডার্ক সার্কল কমিয়ে ফেলা। ব্যবহার করতে পারেন আন্ডার আই জেল। চোখের নীচের ত্বক আর্দ্র থাকবে। ভিটামিন ‘এ’ গুণসমৃদ্ধ রেটিনল ব্যবহার করতে পারেন অথবা করতে পারেন কোল্ড কম্প্রেস। তবে এই সমস্যা কমাবার সবচেয়ে ভালো উপায় হল অন্ততপক্ষে দিনে আটঘণ্টা ঘুমোনো।
ডার্ক আন্ডার আর্মস
যদি আপনার বিয়ের সাজ স্লিভলেস হয়, তাহলে তো আপনাকে আগেই নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে যে আপনার আন্ডারআর্মস ডার্ক যেন না হয়। ডার্ক হলে নারকেল তেল অথবা লেবুর রস লাগালে অনেকটাই হালকা হয়ে যায়। নিজেকে সবসময় পরিচ্ছন্ন রাখুন।
পিঠে দাগ
পিঠে যেন কোনও রকম দাগ না থাকে, আগেই সচেতন থাকুন। কারণ বাঙালি বিয়ের পোশাক শাড়ি ব্লাউজ় বা চোলি ছাড়া ভাবাই যায় না। আর এই ব্লাউজ় বা চোলি কিন্তু পিঠের অনেকটাই উন্মুক্ত রাখে। আর চুলটাও খোঁপা করেই বাঁধা হয়। তাই পিঠে দাগ দেখা গেলে মোটেই ভালো লাগবে না। পিঠের দাগ ভালো স্কিন লাইটনিং ক্রিমের ব্যবহার এবং লেসার থেরাপির মাধ্যমে অনেকটাই হালকা হয়ে যায়।
স্ট্রেচ মার্ক
স্ট্রেচ মার্ক তখনই দেখা যায়, যদি ওজনে হঠাৎ করে কোনও তারতম্য ঘটে। ত্বকের ইলাস্টেসিটি তখন নষ্ট হয়ে যায়। বেশ কিছু হোম রেমেডির মাধ্যমে এই সমস্যা অবশ্য কমেও যায়। যেমন অ্যালো ভেরা জেল, ভিটামিন ‘ই’ দিয়ে ম্যাসাজ।