Now Reading
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার কি সত্যিই ভাল?

অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার কি সত্যিই ভাল?

অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার কি সত্যিই ভাল?

সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার আর জল খেলে ওজন কমতে থাকে ঝটপট, উজ্জ্বল ঝলমলে হয়ে ওঠে ত্বক, কমে যায় ব্রণ, সেরে যায় খুশকি – এমন অনেক তথ্য নিশ্চয়ই আপনার কানেও এসেছে? কখনও কি মনের কোণে সন্দেহের কালো মেঘ জমেছে? সন্দিহান হয়েছেন এ তথ্যের সত্যতা বিষয়ে? জেনে নিন এ তথ্যের কতটা সত্যি।

কীভাবে তৈরি হয়ে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার?
প্রথমে তাজা আপেলের রসের মধ্যে মেশানো হয় ইস্ট ও নির্দিষ্ট কিছু ব্যাকটেরিয়া, তার ফলে সেটি গেঁজে উঠে পরিবর্তিত হয় অ্যালকোহলে। তার পর এর মধ্যে এমন ব্যাকটেরিয়া যোগ করা হয়, যা ফের একবার ফারমেন্টেশনের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যায় তরলটিকে ও অ্যাসিটিক অ্যাসিড তৈরি করে। আপেলের জ্যুস হয়ে যায় অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার। এর এক টেবিলচামচে আন্দাজ তিন ক্যালোরি থাকে, ফলে যাঁরা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাঁদের কাছে এটি আশীর্বাদস্বরূপ।

কোন কোন সমস্যায় কাজ দেয়?
বুঝতেই পারছেন, অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারে অ্যাসিডের পরিমাণ তীব্র এবং নানা ধরনের প্যাথোজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে তা সাফল্যের সঙ্গে প্রয়োগ করা হচ্ছে বহু বছর যাবৎ। আচমকা কোথাও কেটে-ছড়ে গিয়েছে, হাতের কাছে কিছুই নেই? এই অবস্থায় অ্যাপল সাইডার ভিনিগার ব্যবহার করে দেখতে পারেন, ক্ষত তাড়াতাড়ি নিরাময় হবে।

যাঁরা হাই ব্লাড সুগারের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা প্রতিদিন জলে দুই টেবিলচামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে খেয়ে দেখতে পারেন। রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে এর কার্যকর ভূমিকা আছে। তবে রাতারাতি কোনও ওষুধ বন্ধ করাটা ঠিক নয়। যাঁদের ব্লাড সুগারের মাত্রা খুব বেশি, তাঁরা ট্রাই করার আগে একবার ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নেবেন।

যেদিন খুব বেশি কার্বোহাইড্রেট খেয়ে ফেলেছেন, সেদিন অবশ্যই অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার আর জলের মিশ্রণ পান করতে ভুলবেন না। তাতে পেট বেশিক্ষণ ভরা থাকবে। এই তরল মেটাবলিক রেটের হার বাড়ায়, টানা খেয়ে গেলে ওজনও কমতে পারে। তবে সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া আর ব্যায়ামটাও বাদ দিলে চলবে না।

কোলেস্টেরল, ট্রাই গ্লিসারাইড লেভেল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। অ্যাসিড রিফ্লাক্স, বদহজম, বমিভাব আর গলা-বুক জ্বালার সমস্যায় যাঁরা ভোগেন, তাঁদেরও আরাম দিতে পারে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার। তবে কোনও অবস্থাতেই সরাসরি অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার পান করবেন না, 250 মিলি জলে দু’ বড়ো চামচ মিশিয়ে নিতে পারলে ভালো হয়। ছোটখাটো ফাঙ্গাল বা ইস্ট ইনফেকশন সারাতেও তা কার্যকর, তবে অবশ্যই আগে একবার ডাক্তারের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।

যাঁদের ইমিউনিটি খুব কম এবং প্রতিটি ঋতুবদলের সময় শরীর খারাপ হয়, তাঁরাও নিয়ম করে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার আর জলের মিশ্রণ পান করুন। ব্রণ কমাতে, সানবার্ন ঠেকাতে এবং  প্রাকৃতিক ডিওডোরান্ট হিসেবে দারুণ কাজে দেয় এটি। যাঁরা গরমের দিনে খুব ঘামেন, তাঁরা স্নানের পর বাহুমূলে লাগিয়ে দেখতে পারেন, উপকার পাবেন। মাজার পর কুলকুচি করলেও নিশ্বাসের দুর্গন্ধের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তবে মনে রাখবেন, কোনও অবস্থাতেই অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার সরাসরি ব্যবহার করা উচিত নয়, সব সময়ে জলে মিশিয়ে পাতলা করে নিতে হবে।

What's Your Reaction?
Excited
0
Happy
0
In Love
0
Not Sure
0
Silly
0
View Comments (0)

Leave a Reply

Scroll To Top