Now Reading
২০১৮ সালে সিঙ্গার-এর পরিচালন মুনাফা বেড়েছে ৪০%

২০১৮ সালে সিঙ্গার-এর পরিচালন মুনাফা বেড়েছে ৪০%

২০১৮ সালে সিঙ্গার-এর পরিচালন মুনাফা বেড়েছে ৪০%

সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড এর ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সালের নিরীক্ষিত হিসাব অনুযায়ী পরিচালন মুনাফা বেড়েছে ৪০%।

২০১৮ এর ফলাফলের উপর আলোকপাত করতে গিয়ে সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড এর চেয়ারম্যান মিঃ গ্যাভিন জে.ওয়াকার জানান ”বিগত তিন বছরে বিক্রয় বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুন এবং উক্ত সময়ে আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ২.৫ গুনেরও বেশী। এই ফলাফল সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডকে বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় আন্তর্জাতিক অ্যাপ্লায়েন্সেস ব্রান্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ২০১৯ এবং আগত দিনগুলোতে দ্রুত সম্প্রসারনশীল ও সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রকে কাজে লাগাতে আমরা রিটেইল ও হোলসেল ব্যবসা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছি।”

মি. ওয়াকার আরো জানান যে, সিঙ্গার ১৯৮৩ সালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয় এবং এখন পর্যন্ত গৃহে ব্যবহার্য সামগ্রীর একমাত্র কোম্পানী হিসেবে ষ্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত । সিঙ্গার বাংলাদেশে ব্লু চিপ বহুজাতিক কোম্পানী হিসেবে সমাদৃত। এছাড়া সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড নৈতিকতা ও কর্পোরেট সুশাসনের মান সমূহ প্রতিপালনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

৩৮৫টি নিজস্ব বিক্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে সিঙ্গার বাংলাদেশের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের বিক্রেতা। সিঙ্গার এ অঞ্চলে ১৯০৫ সাল থেকে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। সেলাই মেশিন ও কিস্তিতে বিক্রয় কার্যক্রমের জন্য সিঙ্গার সুবিখ্যাত। বর্তমানে সিঙ্গার বাংলাদেশ নিজস্ব ব্যান্ডের পণ্য ছাড়াও অন্যান্য পণ্য বিক্রয় করছে। এছাড়া রয়েছে ৭২০ এর বেশী হোলসেল ডিলার। সিঙ্গার বাংলাদেশের ৫৭% শেয়ার ধারণ করছে নেদারল্যান্ডস্্ ভিত্তিক রিটেইল হোল্ডিংস্ বিহোল্ড বি.ভি. এবং এই কোম্পানীর শেয়ার ঢাকা ও চট্টগ্রম স্টক এক্সচেঞ্জে ট্রেড হয়।

ঘোষিত ফলাফলের উল্লেখযোগ্য দিকগুলো হলো:

১। ২০১৮ সালে বিক্রয় ২৪% বৃদ্ধি পেয়ে ১৩.৭ বিলিয়ন টাকায় উন্নীত হয়েছে।

২। গ্রস মার্জিন বিগত বছরের তুলনায় ২৮.২% হতে বৃদ্ধি পেয়ে ২৮.৫% হয়েছে।

৩। ২০১৮ সালে পরিচালন মুনাফা ৪০% বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিচালন মার্জিন বিগত বছরের তুলনায় ১০.৭% হতে বৃদ্ধি পেয়ে ১২.১% হয়েছে।

৪। সিঙ্গার যথারীতি পরিচালন ব্যয় নিয়ন্ত্রনে কাজ করছে এবং পরিচালন ব্যয় ১৭.৭% হতে হ্রাস পেয়ে ২০১৮ সালে ১৬.৬% হয়েছে।

৫। কর পরবর্তী মুনাফা ২৩% বৃদ্ধি পেয়ে ৯২০ মিলিয়ন টাকায় উন্নীত হয়েছে এবং শেয়ার প্রতি আয় একই হারে বৃদ্ধি পেয়ে ১২ টাকায় উন্নীত হয়েছে।

৬। ৩০% ষ্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হয়েছে।

৭। সিঙ্গার আর্থিক সেবা সংক্রান্ত কার্যাবলী যেমন ওয়েষ্টার্ন ইউনিয়ন, বিকাশ, গ্রামীন এয়ারটাইম রিলোড এবং ইউটিলিটি বিল প্রদান কার্যক্রম মূল্যের দিক থেকে ১৩% বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮ সালে ১.৩ বিলিয়ন টাকায় উন্নীত হয়েছে এবং এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রায় ৮০০,০০০ অতিরিক্ত গ্রাহকের পদচারণায় আমাদের বিক্রয়কেন্দ্রগুলো মুখরিত হয়েছে।

৮। সিঙ্গার অনেকগুলো পণ্যের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বিক্রয় বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রেখেছে, বিশেষত কম্পিউটার ৭০%, প্যানেল টেলিভিশন ২৮%, ওয়াশিং মেশিন ২৪%, কিচেন ও স্মল এ্যাপ্লায়েন্সেস ২০% এবং রেফ্রিজারেটরের ১৭% বিক্রয় বৃদ্ধি পেয়েছে। মূলত ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে পণ্য সরবরাহ এবং ব্যাপক বিজ্ঞাপন কার্যক্রমের মাধ্যমে তা সম্ভব হয়েছে।

৯। ২০১৮- এ ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড কর্তৃক সিঙ্গার বাংলাদেশকে এএএ (অঅঅ) রেটিং করেছে যা সিঙ্গার এর আর্থিক স্থিতিশীলতারই প্রতিফলন।

সিঙ্গার রেফ্রিজারেটর ২০১৮ সালে বাংলাদেশের ‘১ নাম্বার রেফ্রিজারেটর ব্র্যান্ড’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বিশ্বখ্যাত মার্কেট রিসার্চ প্রতিষ্ঠান নিয়েলসন এবং বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম পরিচালিত জরিপে অংশগ্রহণকারী ভোক্তাগণ সিঙ্গার-কে দেশের সবচেয়ে পছন্দের রেফ্রিজারেটর ব্র্যান্ড হিসেবে মনোনিত করেছে।

What's Your Reaction?
Excited
0
Happy
0
In Love
0
Not Sure
0
Silly
0
View Comments (0)

Leave a Reply

Scroll To Top