Now Reading
ঘরোয়া মাস্ক দিয়ে ব্রণ সারিয়ে তুলুন সহজেই

ঘরোয়া মাস্ক দিয়ে ব্রণ সারিয়ে তুলুন সহজেই

ব্রণর উপদ্রব- সারিয়ে তুলবে

কোথাও কিছু নেই, নাকের পাশে বা কপালের মাঝখানে টুসটুসে পেল্লায় একটা ব্রণ! মেজাজ খিঁচড়ে যাওয়ার পক্ষে এটুকুই যথেষ্ট! তেলতেলে ত্বক যাঁদের, তাঁদের সমস্যা একটু বেশি হলেও ব্রণর হামলার হাত থেকে বাদ যান না কম্বিনেশন স্কিন এমনকী নর্মাল স্কিনের মালকিনেরাও! কারণ শুধু তো তৈলাক্ত ত্বকের জন্য নয়, দূষণ, কম জল খাওয়া, জাঙ্ক ফুড বেশি খাওয়া, হরমোনের সমস্যার মতো নানা কারণে ব্রণ হয় এবং এই সমস্যা যে কোনও ত্বকেই হতে পারে!

তবে চিন্তা করবেন না! আপনাদের জন্য এমন কিছু ঘরোয়া প্যাক আমরা নিয়ে এসেছি যা ব্যবহার করলে সমূলে উৎখাত হবে ব্রণ, দাগছোপও থাকবে না! আর সবচেয়ে সুখের কথা, যে কোনও ওভার দ্য কাউন্টার ব্রণর ওষুধের চেয়েও দ্রুত কাজ করবে এই সব ঘরোয়া দাওয়াই এবং তাও কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই!

বেকিং সোডার ফেস মাস্ক
ব্রণ বেশি হয় এমন ত্বকের জন্য এই ফেস মাস্কটি আদর্শ। ত্বকের সেবাম নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করা থেকে শুরু করে ব্রণ শুকিয়ে দেওয়া, কালো দাগ কমানো, সব কিছুই করে এই মাস্কটি। চন্দনবাটা আর গোলাপজলের সঙ্গে মিশে এই ফেস মাস্কটির কার্যকারিতা আরও বেড়ে যায়। ব্রণর ব্যথা আর ফোলাভাব কমাতেও এই মাস্কটি অব্যর্থ!
পদ্ধতি: এক টেবিলচামচ বেকিং সোডা আর এক টেবিলচামচ চন্দনগুঁড়ো গোলাপজল দিয়ে একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। সারা মুখে লাগিয়ে শুকোতে দিন। তারপর ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন।

লেবু মধুর ফেস মাস্ক
ত্বকের উপর জমে যাওয়া মৃত কোষ সরিয়ে রোমছিদ্র পরিষ্কার রাখতে জুড়ি নেই এই মাস্কটির। পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি থাকার কারণে ত্বকে প্রয়োজনীয় পুষ্টিও সরবরাহ করে এই মাস্ক।
পদ্ধতি: একটা গোটা লেবু নিংড়ে রসটা বের করে নিন, তাতে দু’ টেবিলচামচ মধু মেশান। তারপর পেস্টটা মুখে লাগিয়ে কুড়ি মিনিট রেখে স্বাভাবিক তাপমাত্রার জলে ধুয়ে ফেলুন।

হলুদের ফেস মাস্ক
ত্বক উজ্জ্বল মসৃণ করতে হলুদের ব্যবহার বহু প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। ব্রণ নির্মূল করতেও হলুদ খুবই কার্যকর।
পদ্ধতি: আধ চা চামচ হলুদবাটা আর এক টেবিলচামচ টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। তারপর মুখে লাগিয়ে 15 মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

What's Your Reaction?
Excited
0
Happy
0
In Love
0
Not Sure
0
Silly
0
View Comments (0)

Leave a Reply

Scroll To Top