Now Reading
পেটে মেদ জমার ৫টি প্রধান কারণ

পেটে মেদ জমার ৫টি প্রধান কারণ

পেটে মেদ জমার পাঁচটি প্রধান কারণ কী, তা জানতে চান আপনি?

যাঁদের চেহারা ভারী, তাঁদের পেটে ফ্যাট জমলে তাও সান্ত্বনা থাকে। কিন্তু যদি আপনার চেহারা রোগা হয় এবং তা সত্ত্বেও পেট ক্রমশ থলথলে হতে আরম্ভ করে, তা হলে মন খারাপ হতেই পারে! পেটে ফ্যাট জমার খুব স্পষ্ট কতগুলো কারণ আছে, সেই সঙ্গে আছে একটা ভালো দিকও। যদি আপনি ডায়েট আর এক্সারসাইজ়ের নিয়মকানুন মেনে ওজন কমাতে আরম্ভ করেন, নিশ্চিত থাকুন, তা হলে আপনার পেটের ফ্যাটও কমবে। যাঁরা রোগাটে গড়ন নিয়েও পেটে চর্বির পরত জমিয়ে ফেলেছেন, তাঁরাও ডায়েটিং আর ব্যায়ামের মতো বিষয়গুলিকে সিরিয়াসলি নিন। কারণ তা না হলে সমস্যা দিন দিন বাড়বে।

খাদ্য ও পানীয়ে অতিরিক্ত চিনি থাকছে: আপনি হয়তো রোজ সন্দেশ বা রসগোল্লা খান না, কিন্তু তাও খাদ্যতালিকায় বড়োসড়ো সমস্যা আছে। নিজের ডায়েট চার্ট তৈরি করুন, তার পর খুঁটিয়ে দেখুন কোথায় সমস্যা আছে। রোজ ফ্রুট জ্যুস খাচ্ছেন কী? খিদে পেলেই হাত বাড়াচ্ছেন বিস্কিটের দিকে? বিকেলে মুড়ি খাচ্ছেন বটে, কিন্তু তার সঙ্গে মিশিয়ে নিচ্ছেন সামান্য চানাচুর? সকালের ব্রেকফাস্টে খাচ্ছেন প্রসেসড কর্ন বা হুইট ফ্লেক্স? সব বন্ধ করতে হবে। আপনার খাদ্যতালিকার অতিরিক্ত চিনিই সব সমস্যার কারণ।

ট্রান্স ফ্যাট: আপনি যা খাচ্ছেন, তার মধ্যে ট্রান্স ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। মানে, প্যাকেটের চিড়েভাজা, মাফিন, চিপস, বেকড পানিখাবার – সবের মধ্যেই ট্রান্স ফ্যাট থাকে। থাকে বিস্কিট আর কুকিজ়েও। অতিরিক্ত প্রসেসড চিজ় ইত্যাদি থেকেও দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে।

আপনার ডায়েটে যথেষ্ট প্রোটিন ও ফাইবার নেই: আপনি আমিষ খান বা নিরামিষ, প্রোটিনের পরিমাণে ঘাটতি হওয়ার কোনও কারণ নেই। নিরামিষভোজীরা বেশি করে ডাল, ছানা, সোয়াবিন ইত্যাদি খান। যাঁরা আমিষ পছন্দ করেন, তাঁরা মাছ, ডিম, চিকেনের উপর আস্থা রাখুন। প্রোটিন আপনার পেট ভরিয়ে রাখবে বেশিক্ষণ, কথায় কথায় খিদে পাবে না। সেই সঙ্গে বাড়াতে হবে ফল-শাকসবজি খাওয়া। তাতে যথেষ্ট ফাইবার মিলবে।

See Also

আপনার পাচনতন্ত্রে উপকারি ব্যাকটেরিয়ার চেয়ে অপকারির সংখ্যা বেশি:আপনার পাচনতন্ত্রে, বিশেষ করে কোলনে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া থাকে, তার পোশাকি নাম হচ্ছে ‘গাট ফ্লোরা’ বা ‘মাইক্রোবায়োম’। পাচনতন্ত্রে উপকারি ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বেশি না হলে পেটে মেদ জমতে পারে। খাদ্যতালিকায় প্রোবায়োটিকের পরিমাণ বাড়িয়ে ও সুষম খাবার খেলে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।

যথেষ্ট ঘুমোচ্ছেন না: দিনে অন্তত ছয়-সাত ঘণ্টা ঘুমোতেই হবে, তার চেয়ে কম বিশ্রাম পেলে কিন্তু পেটে মেদ জমতে বাধ্য। রোজ নির্দিষ্ট সময় ঘুমোতে যাওয়া ও ঘুম থেকে ওঠার অভ্যেস তৈরি করুন।

What's Your Reaction?
Excited
0
Happy
0
In Love
0
Not Sure
0
Silly
0
Scroll To Top