লম্বা ও মজবুত চুল মাত্র কয়েক সপ্তাহে

কাঁধ ছাপানো রেশমের মতো নরম আর মসৃণ চুল আমাদের অনেকেরই স্বপ্ন। কিন্তু চুল কিছুতেই যেন বাড়তে চায় না! তার মধ্যেই রুক্ষভাব, খুসকির কারণে চুল ভেঙে ঝরে যায়, ডগা ফাটার কারণে বা শেপ নষ্ট হয়ে যাওয়ার জন্য মাঝেমধ্যেই কেটে ফেলতে হয় চুল। তাই ভীষণ ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও চুল আর লম্বা করা হয় না! তা ছাড়া চুল মনের মতো দৈর্ঘ্যে পৌঁছোতে যে সময় লাগে, ততদিন ধৈর্য ধরাও মুশকিল হয়ে পড়ে অনেকের কাছে।
তা হলে লম্বা চুলের স্বপ্ন কি অধরাই থেকে যাবে? মোটেই না! চুলের গোড়ায় সঠিক পুষ্টি পৌঁছে দিতে পারলেই চুলের বৃদ্ধি হবে দ্রুত। একই সঙ্গে চুল সঠিক পুষ্টি পেলে মজবুত হবে ফলে ভেঙে ঝরে যাওয়ার আশঙ্কাও কমে যাবে। মাত্র এক মাসের মধ্যে চোখে পড়ার মতো চুলের বৃদ্ধি চোখে পড়বে আপনার।
চুলের গোড়ায় পুষ্টি পৌঁছে দ্রুত চুল লম্বা করার ইচ্ছে যাঁদের, তাঁদের জন্য রইল একটি স্পেশাল হেয়ার মাস্কের হদিশ।
এই হেয়ার মাস্কটি বানাতে আপনার দরকার একটি ডিম, সঙ্গে অলিভ অয়েল, নারকেল তেল আর মধু,এই তিনটি উপাদান প্রতিটি এক টেবিলচামচ করে। নারকেল তেল আর অলিভ অয়েল, দুটিই চুলের শুষ্কতা কমিয়ে চুল আর্দ্র রাখে, মধু চুল কন্ডিশন করে মসৃণ আর কোমল রাখে। আর ডিমের প্রোটিন চুলের গোড়ায় পুষ্টি জুগিয়ে ফলিকলগুলো মজবুত করে তোলে।
বড়ো বাটিতে অলিভ অয়েল, নারকেল তেল আর মধু দিয়ে মিশিয়ে নিন। এরপর ডিম ভেঙে কুসুম আর সাদাটাও ওতে দিয়ে খুব ভালো করে ফেটিয়ে মিশিয়ে নিন।
আপনার হেয়ার মাস্ক তৈরি। পুরো চুলটা আঁচড়ে গোড়া থেকে কয়েকটা ভাগে ভাগ করে নিন। এবার মাস্কটা অল্প অল্প করে নিয়ে চুলের গোড়ায় গোড়ায় আর পুরো চুলে মেখে নিন। পুরো মাথায় মাস্ক লাগানো হয়ে গেলে একটা শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে মাথা ঢেকে ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করুন। এক ঘণ্টা পর ঠান্ডা জল দিয়ে মাস্ক ধুয়ে ফেলে কোমল শ্যাম্পু আর কন্ডিশনার দিয়ে আর একবার চুল ধুয়ে নিন। সপ্তাহে একবার বা দু’বার এই মাস্ক নিয়মিত ব্যবহার করলে মাসখানেকের মধ্যে চুলের বৃদ্ধিতে তফাত দেখতে পাবেন, চুলের গোছও ভালো হবে।
What's Your Reaction?
আমি পেশায় একজন ছাত্রী। বর্তমানে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস এ অর্থনীতি বিভাগে ৪র্থ বর্ষে পড়াশোনা করছি। পড়াশোনারত অবস্থায় বিভিন্ন ছোট-বড় প্রতিষ্ঠানে কাজ করছি। আমার ইউনিভার্সিটিতে ছোট বাচ্চাদের সাহায্যের জন্য SMILING FACES নামক একটি সংঘের সাথে আছি, এছাড়া Model United Nation(MUN) এ কাজ করেছি। ইউনিভার্সিটির বাইরে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এ Liasion Officer পদে কাজ করেছি বিগত দু'বার। আপাতত নিজের আরো যোগ্যতা অর্জনের লক্ষ্যে ডিজিটাল ক্ষেত্রে মনোনিবেশ করছি।