যেভাবে সামলাবেন শিশুর অতিরিক্ত কৌতূহল

শিশুদের কৌতূহলের শেষ হয় না সহজেই। কিছু শিশু কথা বেশি বলার কারণে পড়ালেখায় অমোনযোগী হয়ে থাকে। তাছাড়া শিশুরা সারক্ষণ প্রশ্ন করতেই থাকে আশপাশের সবাইকে।
শিশুরা সবসময় বুঝতে পারে না কোন সময় কথা বলতে হবে আর কোন সময়টা কথা বলা বন্ধ রাখতে হবে। শিশুরা প্রশ্ন করতে ভালোবাসে, নিজের আশেপাশে যা দেখে তা নিয়ে একটানা কথা বলতেও পছন্দ করে। নতুন কিছু যখন আর বলার থাকে না তখন নিজের মনেই তার সদ্য শেখা গান, ছড়া, গল্প আওড়ে যায়। বড়দের যতই বিরক্ত লাগুক না কেন, সুস্থ স্বাভাবিক শিশুর প্রধান লক্ষণই হচ্ছে, তার চারপাশের জগত সম্পর্কে কৌতূহল। অন্যদের সঙ্গে কথা বলার মাধ্যমেই তারা পৃথিবীকে চিনতে পারে।
তবে সব কিছুরই একটা মাত্রা থাকে। এই কথা বলাটা যদি মাত্রাতিরিক্ত হয়ে যায় তাহলে তা নিয়ে ভাবতেই হয়। জেনে নিন কীভাবে সামলাবেন এমন শিশুদের।
শিশু কথা বলতে শেখার সঙ্গে সঙ্গে ওকে সাধারণ সহবত শেখাতে শুরু করুন। খেলাচ্ছলে ওকে শেখান কীভাবে স্কুলে, আত্মীয়দের বাসায় বা পাবলিক প্লেসে কথা বলতে হয়।
শিশুকে খানিকক্ষণ চুপ করে থাকা শেখানোর জন্য কোনো লাইব্রেরিতে মাঝে মাঝে নিয়ে যান। আপনিও সেখানে ওর সঙ্গে বসে ঘণ্টাখানেক বই পড়ুন।
আপনি যখন ব্যস্ত থাকেন তখন যদি দেখেন ও আপনার সঙ্গে অনর্গল কথা বলছে, তাহলে বুঝবেন ও আপনার মনোযোগ আকর্ষণ করতে চাইছে। সেই সময় ওকে অন্য কোনো কাজে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করুন। ওর পছন্দের কোনো কাজ করতে দিন।
শিশুকে মূকাভিনয়, মঞ্চনাটক দেখাতে নিয়ে যান। এতে ওর মনোসংযোগ বাড়বে।
ওর সঙ্গে গল্প বলার খেলা খেলুন। ও বলার সময় আপনি চুপ করে শুনবেন। আবার আপনি বলার সময় ওকে চুপ করে শুনতে বলবেন।ৎ
বাসার অন্য সদস্যরা যদি খুব বেশি কথা বলেন তাহলে স্বাভাবিকভাবে শিশু তাই শিখবে। সেক্ষেত্রে পাল্টাতে হবে নিজেদেরও।
অনেক বাবা-মা শিশুর সামনে সারাক্ষণ ফোনে কথা বলেন। এতে শিশুর মধ্যেও অতিরিক্ত কথা বলার অভ্যাস তৈরি হয়। শিশুর সামনে ফোনে অনর্গল কথা বলা এড়িয়ে চলুন।
তবে মনে রাখবেন চুপ থাকতে হবে বলে কিন্তু শিশুর কথা বলাকে সবসময় নিরুৎসাহিত করবেন না। ও নিজের চিন্তাভাবনা, অনুভূতি অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চায় বলেই কথা বলে। মাঝে মাঝে ওর কথাও মন দিয়ে শুনুন।