Now Reading
করোনা ভাইরাস বা ভাইরাল ইনফেকশন থেকে দূরে থাকার টিপস

করোনা ভাইরাস বা ভাইরাল ইনফেকশন থেকে দূরে থাকার টিপস

করোনা ভাইরাস বা ভাইরাল ইনফেকশন থেকে দূরে থাকার টিপস

করোনা ভাইরাসের আক্রমণ নিয়ে তো হইচই পড়েই গিয়েছে সারাবিশ্বে! এই মুহূর্তেই হয়তো সেই বিপজ্জনক ভাইরাস আপনার দোরগোড়ায় এসে হাজির হচ্ছে না, কিন্তু এটাও তো ঠিক যে প্রতি মৌসুমে বদলের সময়েই ভাইরাসের হানায় সর্দি-কাশি-জ্বরে ভুগতে থাকেন বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ? বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক আর দুর্বল প্রতিরোধক্ষমতা যাঁদের, তাঁদের সমস্যাই বেশি। এই পরিস্থিতিতে অতি অবশ্যই বাড়তি কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। তাতে যে একেবারেই কোনও রোগের কবলে পড়বেন না, তেমন দাবি করছি না আমরা, তবে এ কথাও তো ঠিক যে সাবধানের মার নেই?

প্রথমেই যা বলা উচিত, তা হল খাওয়াদাওয়া আর ঘুমের সঙ্গে কোনও সমঝোতা করবেন না, অন্তত এই সময়টায়। শরীর যেন ভিতর থেকে শক্তপোক্ত থাকে, সে বিষয়টা নিশ্চিত করতে হবে। হালকা ব্যায়াম করাটাও জরুরি, সেটা সম্ভব না হলে অন্তত সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করুন, দুটো স্টপ হেঁটে গিয়ে তবে ট্যাক্সিতে উঠুন অফিস বা ক্লায়েন্ট মিটিংয়ে যাতায়াতের সময়। তবে খুব সকালে বা সন্ধের পর খোলা মাঠে হাঁটলে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে কিনা দেখে নেবেন – এই দু’টি সময়েই বাতাসের দূষণকণা নিচে নেমে আসে। সেক্ষেত্রে ইন্ডোর সেটআপে এক্সারসাইজ় করা ভালো অপশন।

সর্দি-কাশি হলে মুখ ঢেকে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে, ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে পরতে পারেন মাস্কও। তবে তার যথাযথ ব্যবহার শিখে নিন আগে, মাস্ক স্টেরিলাইজ়ড না থাকলেও কিন্তু মুশকিলে পড়বেন। একান্ত মুখ-নাক ঢেকে রাখা সম্ভব না হলে টিস্যু বা ন্যাপকিন ক্যারি করুন। কাশির মাধ্যমে কিন্তু জীবাণু ছড়ায় হু হু করে। তাই যখনই কাশি হবে, মুখ ঢেকে রাখুন ন্যাপকিনে। অফিসে কারও সর্দি-কাশি হলে দূরত্ব বজায় রাখুন। শরীর খারাপ লাগলে ছুটি নিন, অসুস্থ শরীরে অফিস গেলে সমস্যা আরও বাড়বে, কমবে না।

বারবার হাত ধুয়ে ফেলুন সাবান দিয়ে, বিশেষ করে কারও সঙ্গে হাত মেলানোর পর। জানেন তো, আপনার হাতেও অসুখের জার্ম অন্তত ঘণ্টা তিনেক বেঁচে থাকতে পারে? তাই এই সময়টায় অন্তত কোনও রিস্ক নেওয়ার প্রয়োজন নেই। আপনি যে সিটে বসছেন, কম্পিউটারে কাজ করছেন, ফোন ব্যবহার করছেন – তার সব কিছুতেই জীবাণু থাকতে পারে। তাই প্রতিটি সারফেস পরিষ্কার রাখুন। নিয়ম করে ডাস্টিং করুন বাড়িতে ও বাড়ির বাইরে।

See Also

এর পরেও যদি কোনও ভাইরাসের আক্রমণের মুখে পড়েন? তা হলে কী করবেন? প্রথমেই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। একদম সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে, আর এই সময়টায় যত কম মানুষের সংস্পর্শে আসবেন তত ভালো।

What's Your Reaction?
Excited
0
Happy
0
In Love
0
Not Sure
0
Silly
0
Scroll To Top