Now Reading
লকডাউনের এই সময় ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্যতালিকা

লকডাউনের এই সময় ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্যতালিকা

বাড়িতে এমন কেউ আছেন যিনি ডায়াবেটিক?

যাঁদের বাড়িতে ডায়াবেটিস বা হাইপারটেনশনের রুগি আছেন, তাঁরা নিশ্চিতভাবেই এই লকডাউন পর্বে খুব মুশকিলে পড়েছেন খাদ্যতালিকা মেনে চলতে গিয়ে? বাজারে ফল বা শাকসবজি এখন মিলছে বটে, কিন্তু তা কতদিন পাওয়া যাবে, তা নিয়েও সংশয় আছে। তার মধ্যে ঘরবন্দি অবস্থায় হাঁটাচলাও তেমন হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের খাদ্যতালিকায় ঠিক কী কী রাখবেন জেনে নিন।

ডায়াবেটিকদের খাদ্যতালিকা এমন হওয়া উচিত, যাতে তাঁদের রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়। তার জন্য তাঁদের খাবারে হোল গ্রেন বা যে ধরনের দানাশস্য কোনও প্রসেসিংয়ের মধ্যে দিয়ে যায়নি, তা রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। পুষ্টিবিদ যাজ্ঞসেনী আম্বলি বলছেন, “স্রেফ এই একটা কারণেই ডায়াবেটিকদের ভাতের বদলে রুটি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। যে সাদা চালের ভাতটা আমরা খাই, সেটা রিফাইন্ড কার্ব। রুটির আটায় ভুষি থাকে, ফলে সেটা ভাঙতে শরীরের বেশি সময় লাগে। ক্যালোরির দিক থেকে দেখলে ভাত আর রুটির মধ্যে খুব বিরাট ফারাক কিন্তু নেই। একান্তই যদি রুটি খাওয়া সম্ভব না হয়, তা হলে ভাতই খান, তবে পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। বদলে ডাল বা সবজি বেশি করে খাওয়া অভ্যেস করুন।”

সবজি বাজারে মিলছে, দামও এখন পর্যন্ত খুব বেশি না। তাই যতটা সম্ভব কিনে রাখুন। ধুয়ে ছোটো ছোটো টুকরোয় কেটে এয়ারটাইট পাত্রে ভরে ফ্রোজেন সবজির মতোই রেখে দিন ফ্রিজে, বেশ কিছুদিন ব্যবহার করতে পারবেন। গরমকালে নানা ফল মেলে, সেগুলিও খেতে পারেন, তবে মনে রাখতে হবে যে কার্বোহাইড্রেটের দিক থেকে বিচার করলে ফলে তার মাত্রা বেশি, সবজিতে কম। তাই বেশি করে সবজি খেতে পারেন।

প্রোটিনের দিক থেকে ভরসা রাখতে পারেন যে কোনও ডাল, ছোলা, বাদাম, দুধ, ছানা, ডিম ও মাছের উপর। নিরামিষ খেলে কোনও সমস্যা নেই, তবে সেক্ষেত্রে ডাল খাওয়া মাস্ট। আলুও খাওয়া যায় একান্ত উপায় না থাকলে। তবে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা যেন না মাত্রা ছাড়ায় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। আর রান্নায় তেল-মশলা-নুন-চিনি সবের ব্যবহারেই নিয়ন্ত্রণ রাখা উচিত।

সবচেয়ে জরুরি বিষয় হচ্ছে, শরীর সচল রাখুন। হাঁটাচলা করুন নিয়ম করে। বাড়ির ছাদে ব্যাডমিন্টন খেলা বা সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামাও চলতে পারে।

What's Your Reaction?
Excited
0
Happy
0
In Love
0
Not Sure
0
Silly
0