এ যেন এক লাফে শিশুবেলায় ফিরে যাওয়ার সুযোগ হাতে তুলে দিয়েছে জীবন! কম বয়সে স্কুলছুটির পর বিকেলবেলায় বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কখনও লাফানদড়ি খেলেননি এমন কেউ আছেন নাকি? এক লহমায় আপনার জীবন সেই দিনগুলিকে ফিরিয়ে দিয়েছে – এ সুযোগ ছাড়বেন না ভুল করেও। বন্ধুদের হয়তো পাবেন না, কিন্তু স্বামী আর সন্তানের সঙ্গে বিকেলবেলা স্কিপিং করতে তো অসুবিধে হওয়ার কথা নয়! যাঁরা একা থাকেন, বা হয়তো মা-বাবার সঙ্গে, তাঁরাও এইই এক্সারসাইজ় দারুণ উপভোগ করবেন। সবচেয়ে আকর্ষক তথ্যটা কী জানেন? এক ঘণ্টা স্কিপিং করলে প্রায় 1500 ক্যালোরি পোড়ে, তাই ওজনও কমবে! আরও বড়ো সুবিধে হচ্ছে, যাঁরা লকডাউনের জেরে বাড়ির ছাদ বা লনটাও ব্যবহার করতে পারছেন না, তাঁরা ঘরের মধ্যেই অভ্যেস করতে পারেন স্বচ্ছন্দে।
জানেন তো, বিখ্যাত পপ তারকা কেটি পেরি স্কিপিংয়ের অন্ধ ভক্ত? বক্সাররাও স্কিপিং করেন ব্যালান্স এবং কো অর্ডিনেশন ঠিক রাখার জন্য। সেই সঙ্গে বাড়ে স্ট্যামিনা, পুরো শরীর টোনড থাকে। কার্ডিও এক্সারসাইজ় হিসেবে স্কিপিং দারুণ জনপ্রিয়। মধ্য কলকাতার এক জিমের সঙ্গে যুক্ত ফিটনেস ট্রেনার চন্দন রানা বলছেন, “যাঁরা জিমে যেতে পারছেন না বলে খুব মুষড়ে পড়েছেন, তাঁদের সকলকেই আমি স্কিপিং করার পরামর্শ দিচ্ছি। পুরো শরীরের ব্যায়াম হবে, ঘরের মধ্যে থেকে করতে পারবেন। তবে শুরু করার আগে নিয়মিত ওয়ার্ম আপের রুটিনটা মেনে চলা উচিত।”
যাঁদের হাই ব্লাড-প্রেশার বা হার্টের সমস্যা আছে, তাঁরা এই রুটিন শুরুর আগে একবার ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নিন। আর স্কিপিং করার সময় টাইট স্পোর্টস ব্রা ও ভালো শক অ্যাবজ়রব্যান্ট জুতো পরার পরামর্শ দেওয়া হয় সব সময়।