শাড়ির সঙ্গে কনট্রাস্ট ব্লাউজ় পরতে চান? মেনে চলুন কয়েকটি বিশেষ নিয়ম

ট্র্যাডিশনাল সাজ যাঁরা পছন্দ করেন, তাঁদের কাছে কনট্রাস্ট করে পোশাক পরার কোনও বিকল্প নেই। তা দেখতেও নিশ্চিতভাবেই খুব ভালো লাগে। কিন্তু কনট্রাস্ট করারও একটা ব্যাকরণ আছে, সেটা না মেনে চললে কিন্তু দেখতে ভালো লাগবে না।
প্রথম নিয়ম হচ্ছে, হালকা আর গাঢ় রঙে ভালো কনট্রাস্ট হয়। যেমন ধরুন সাদা আর কালো হচ্ছে খুব ভালো কনট্রাস্ট। সেই নিয়ম মেনেই সাদা আর লালও দারুণ। তবে একটি শেডের লাইট আর ডার্ক টোন দিয়েও খুব ভালো বৈপরীত্য তৈরি করা সম্ভব – গাঢ় নীল আর হালকা নীল পাশাপাশি রেখে দেখতেই বুঝতে পারবেন!
দুই, একটি কালার ফ্যামিলির একাধিক শেডের মধ্যেও কনট্রাস্ট করানো সম্ভব। যেমন ধরুন, হলুদ আর কমলার বৈপরীত্য সুন্দর। আবার কালার হুইলের একেবারে বিপরীত দিকে থাকা রং, যেমন সবুজ আর বেগুনি বা নীল আর গোলাপির কনট্রাস্টও ভালো।
তিন, কিছু শেড আছে, যেগুলি ‘শীতল’ তকমা পায় – তার মধ্যে পড়ে নীল, সবুজ। ‘ওয়ার্ম’ বা উষ্ণ হচ্ছে লাল-হলুদ-কমলা। নিউট্রাল হচ্ছে কালো, সাদা, গ্রে। শ্রীনন্দা শঙ্কর তাঁর সাদা কালো চান্দেরি শাড়িটি ‘উষ্ণ’ টোনের লাল ব্লাউজ়ের সঙ্গে পরেছেন। তা দেখতে চমৎকার লাগছে। লাল লিপস্টিক আর টিপের সঙ্গে শাড়িটি পরায় তা দেখতে আরও সুন্দর লাগছে।
চার, বিভিন্ন ধরনের জ্যামিতিক নকশা দিয়েও কনট্রাস্ট করা যায়, আবার ছোট এবং বড়ো আকারের প্রিন্ট দিয়েও তা করা সম্ভব। যাঁরা প্রথমবার কনট্রাস্ট করে পোশাক পরছেন, তাঁরা রং দিয়েই এক্সপেরিমেন্ট শুরু করুন। তার পর না হয় অন্যগুলো ট্রাই করে দেখতে হবে।
What's Your Reaction?
সাদিয়া ইসলাম ফেমিনাইরা -এর একজন লেখক। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করতে পছন্দ করেন।