অতিরিক্ত সেলফি-প্রীতি আপনাদের সম্পর্কে বিপর্যয় ডেকে আনছে না তো?

নেহাত আশঙ্কার অনুমান নয়! 2016 সালে ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে একটি স্টাডি প্রকাশিত হয়। তাতে বলা হয়েছে, যাঁরা খুব ঘন ঘন সোশাল মিডিয়ায় সেলফি পোস্ট করেন, তাঁদের নিজের নিজের রোমান্টিক পার্টনারদের সঙ্গে প্রায়ই ঝামেলা-ঝঞ্ঝাটে জড়িয়ে পড়েন। সোশাল মিডিয়ায় দেওয়া সেলফির তলায় জমে যাওয়া লাইক আর কমেন্ট নিয়েও ঈর্ষায় ভোগেন অনেকে। সেলফির প্রতি অতিরিক্ত আকর্ষণ সম্পর্কটার ভিতকেও নড়বড়ে করে দিতে পারে।
কীভাবে বুঝবেন অতিরিক্ত সেলফি-প্রীতি আপনাদের সম্পর্কেও থাবা বসাচ্ছে কিনা? লক্ষ রাখুন নিচের চিহ্নগুলোর দিকে!
সোশাল মিডিয়া স্টকিং
সম্পর্কের ভিত নড়বড়ে হওয়ার এই শুরু! যখনই কোনও একজন পার্টনার উপুড় হয়ে অন্যজনের সেলফির নিচে কে কী কমেন্ট করেছে খুঁজতে শুরু করবেন, ওখানেই সমস্যার গোড়াপত্তন! তা ছাড়া একজন পার্টনার নিজের খুব কেতাদুরস্ত ঝকঝকে ছবি পোস্ট করতে শুরু করলে অন্যজন ঈর্ষার শিকার হয়ে পড়তে পারেন। তা থেকে পরে বড়ো সমস্যা দেখা দেওয়া মোটেই অসম্ভব নয়!
সঙ্গীর প্রতি অমনোযোগী হয়ে পড়া
ধরা যাক আপনি আর আপনার পার্টনার একসঙ্গে কোথাও বেড়াতে গেছেন! সেখানে পুরো সময়টা যদি আপনি বা আপনার পার্টনার শুধু সেলফি তুলতেই ব্যস্ত থাকেন, তা হলে পরস্পরের প্রতি মনোযোগটা দেবেন কখন? সেলফির কারণে রোমান্সে ঘাটতি পড়তেই পারে এবং তা থেকে একসময় সম্পর্ক ভেঙে যাওয়াটাও অস্বাভাবিক নয়!
দানা বাঁধা নার্সিসিজ়ম
সারাক্ষণ নিজেই নিজের প্রতি মোহগ্রস্ত হয়ে থাকা অর্থাৎ নার্সিসিজ়মই কিন্তু সেলফিতে ডুবে থাকার কারণ! কোনও একজন পার্টনার যদি সবসময় নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকেন, তা হলে সম্পর্কটায় দেওয়ার মতো ইচ্ছে বা সময় কোনওটাই তাঁর থাকবে না। এর সঙ্গে যদি নিজের চেহারা নিয়ে আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি থাকে, তা হলে সমস্যার শিকড় রয়েছে আরও গভীরে। সব মিলিয়ে প্রেমের সম্পর্ক মসৃণভাবে না চলারই কথা।