Now Reading
ঘর পরিষ্কার তো করছেন, সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত করছেন কী?

ঘর পরিষ্কার তো করছেন, সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত করছেন কী?

ঘর পরিষ্কার তো করছেন, সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত করছেন কী?

করোনা ভাইরাসের তাণ্ডব শুরু হওয়ার আগে যাঁরা কখনও ঝাঁটা বা ন্যাতায় হাত দেননি, তাঁরাও অতি উৎসাহে ঘর পরিষ্কার করতে আরম্ভ করেছেন ইদানীং। কারণ আর কিছুই না, আমরা ঘরদোর যথাসম্ভব জীবাণুমুক্ত রাখতে চাইছি। কিন্তু চাইলেই তো আর হল না — কাজের কাজ যে হচ্ছে, সে বিষয়ে নিঃসন্দেহ হতে হবে তো!

সাবান, বিশেষ করে গরম সাবান পানি আপনি ঘরের মেঝে, জানলার পাটা, রান্নাঘর, বাথরুম সবই সাফ করতে পারেন, কিন্তু তাতে স্রেফ ময়লা পরিষ্কার হয় — সেটাকে জীবাণুমুক্ত করা বলে না। আপাতত আমাদের কারও বাড়িতেই বাইরের কেউ আসছেন না, তাই তেমন অসুবিধে হচ্ছে না। কিন্তু করোনামুক্তি কালই ঘটবে না, এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ধীরে ধিরে শুরু করতেই হবে স্বাভাবিক কাজকর্ম। আমাদের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করতে হবে, বাড়ির কাজে ফিরবেন সহায়কেরা। তখন সারফেস পরিষ্কার করার প্রয়োজনীতা আরও বাড়বে। তার আগেই জেনে নিন কী কী ব্যবহার করে আপনি যে কোনও সারফেস জীবাণুমুক্ত করতে পারেন।

এই একটি কাজ কিন্তু বাড়িতে থাকা টুকিটাকি জিনিসপত্র দিয়ে বানিয়ে ফেলা যাবে না এবং তা কতটা কাজে দেবে, সে বিষয়েও খুব নিশ্চিন্ত হওয়া সম্ভব না। তাই ওষুধের দোকান থেকে অ্যালকোহল, প্যারক্সাইড বা ক্লোরিনযুক্ত ক্লিনিং এজেন্ট কিনুন। হ্যাঁ, এ কথা ঠিক যে এখন বাজারে এই ধরনের উপাদান মিলছে না — কিন্তু চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছুদিনের মধ্যেই দোকানে তা এসেও যাবে। আগে থেকে সংগ্রহ করে রাখুন, কারণ আমাদের ব্যাগে এতদিন যেমন বাড়তি ডিওডোরান্ট, চিরুনি, কাজল বা লিপস্টিক থাকত, এখন থেকে সেভাবেই স্যানিটাইজার রাখতে হবে। হাত পরিষ্কারের স্যানিটাইজার দিয়ে কিন্তু সারফেস পরিষ্কার করা যাবে না। খুব ভালো হয় যদি সেই সঙ্গে জীবাণুমুক্ত করার উপযোগী ওয়েট টিস্যুও কিনে রাখতে পারেন।

অ্যাপ ক্যাব বা ভাড়ার গাড়িতে ওঠার আগে দরজার হাতলে স্যানিটাইজার ছিটিয়ে নিন। তার পর টিস্যু দিয়ে মুছে নিন। গাড়ির সিটে বসার আগেও স্যানিটাইজার ছড়ান, কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করুন। তার পর টিস্যু দিয়ে মুছে নিন। এই টিস্যু আর কাজে লাগবে না, ফেলে দিতে হবে। তবে যেখানে সেখানে ফেলবেন না, সঙ্গে বাড়তি ব্যাগ রাখুন। ব্যবহৃত টিস্যু তার মধ্যে জমা রাখুন। মেট্রো, বাস বা ট্রেনে যাঁদের যাতায়াত করতে হবে, তাঁরা গ্লাভস পরার চেষ্টা করুন। একই নিয়ম মানুন বাজারে বা শপিং মলে। বার বার স্যানিটাইজার ব্যবহার করা সম্ভব না সেখানে।

অফিসে ঢুকে আপনার নিজের ডেস্ক আর কম্পিউটারের কি-বোর্ড ও মাউস এভাবেই মুছে নিয়ে হবে। টিস্যু না থাকলে সাধারণ কিচেন টাওয়েল ব্যবহার করতে পারেন, তবে সেটি খালি হাতে ছোঁয়া চলবে না একেবারেই। প্রথম সুযোগেই কেচে ফেলতে হবে গরম সাবান পানি ডুবিয়ে। অফিসের বাথরুমের দরজা খোলার সময়েও এই নিয়ম মেনে চলুন – কলে হাত দিলেও তা জীবাণুমুক্ত করে নিন।

বাড়িতে এমনি সময়ে সারফেস সাবান পানি মুছে নিলেই চলবে। কিন্তু যদি কারও জ্বর-সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ থাকে, তা হলে বাড়ির প্রতিটি সারফেসও একইভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে বার বার। তবে জীবাণুমুক্ত করার আগে জায়গাটা একেবারে পরিষ্কার করে নিন। ময়লা জমে থাকলে কিন্তু জীবাণুমুক্ত করার সলিউশন কোনও কাজ করবে না।

What's Your Reaction?
Excited
0
Happy
0
In Love
0
Not Sure
0
Silly
0