Now Reading
পরিবারের অনেকটা সময় কাটছে অনলাইন ডিভাইসে? স্ক্রিন টাইম নিয়ন্ত্রণ করাও জরুরি

পরিবারের অনেকটা সময় কাটছে অনলাইন ডিভাইসে? স্ক্রিন টাইম নিয়ন্ত্রণ করাও জরুরি

পরিবারের অনেকটা সময় কাটছে অনলাইন ডিভাইসে? স্ক্রিন টাইম নিয়ন্ত্রণ করাও জরুরি

বাচ্চা স্কুল করছে অনলাইনে, আপনি অফিসের ফাইল সামলাচ্ছেন ল্যাপটপে, কত্তার বিজনেস মিটিং চলছে ফোনে। এর বাইরে বাবা-মা বা পরিবারের অন্য কারও সঙ্গে যখন কথা হছহে, তখনও ভিডিয়ো কলের আশ্রয় নিচ্ছেন নিশ্চয়ই? তার পর আছে ভিডিয়ো গেম খেলা, স্ট্রিম করে সিনেমা বা সিরিজ দেখার অভ্যেস। হ্যাঁ, এ কথা ঠিক যে অনলাইন হয়ে বাঁচাটাই আমাদের ভবিতব্য হিসেবে মেনে নিতে হবে। দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ছে হু হু করে, শহরকে ছাপিয়ে গ্রামে বাড়ছে নেটের ব্যবহার। কিন্তু তার মধ্যেই ভালো থাকার উপায়ও খুঁজে নিতে হবে আপনাকেই।

অতিরিক্ত সময় কোনও ইলেকট্রনিক ডিভাইসে লগ ইন হয়ে থাকার অনেক সমস্যা আছে। তীব্র আলোর চোখধাঁধানিতে ঘুম আসবে না চট করে, মুখে বলিরেখা পড়বে তাড়াতাড়ি, ড্রাই আই সিনড্রোম বাড়তে পারে। বাচ্চার অডিয়ো ভিস্যুয়ালে অতিরিক্ত আসক্তি তৈরি গেলে সে আর পরে স্বাভাবিক বই-খাতার পড়াশোনায় ফিরতে পারবে কিনা সন্দেহ। বড়োদের ক্ষেত্রে যেটা সবচেয়ে বড়ো সমস্যা, তা হচ্ছে ভার্চুয়াল দুনিয়ায় থাকতে গিয়ে আমরা আশপাশের মানুষের থেকে বড্ড দূরে সরে যাই এবং তা টের পেতেও অনেক দেরি হয়ে যায়। তাই আজ থেকে রাশ টানুন অতিরিক্ত গ্যাজেট ব্যবহারে, জীবনে ফিরিয়ে আনুন পুরোনো ছন্দ।

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরের এক ঘণ্টা এবং রাতে শুতে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগে সমস্ত ডিভাইস থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিন। এক-আধদিন রাত পর্যন্ত মিটিং চলতেই পারে, সেটা আলাদা প্রশ্ন। ভিডিয়ো গেম নয়, প্রতিদিন নিয়ম করে খানিক্ষণ বাচ্চার সঙ্গে খেলাধুলো করুন, তার হোমওয়ার্কের সময় সাহায্য করুন। স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের উপর আস্থা থাক, সেই সঙ্গে সবাই মিলে একসঙ্গে বসে সিনেমা দেখার ব্যবস্থা করুন। ছোটো ছোটো পরিবর্তন আনুন জীবনে, তাতেই জীবন সহনীয় হয়ে উঠবে।

What's Your Reaction?
Excited
0
Happy
0
In Love
0
Not Sure
0
Silly
0