মাঝেমাঝে স্বামী বা প্রেমিককে টুকটাক মিথ্যে বলা কি দোষের?

যে কোনও সম্পর্কের গোড়ার কথা হল সততা। যে কেউ এ কথা মেনে নেবেন। সততা না থাকলে সম্পর্ক দানা বাঁধে না। প্রেম বা বৈবাহিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ কথা আরও বেশি করে প্রযোজ্য। স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের কাছ থেকে কোনও কথা গোপন করবেন না, পরস্পরের বিশ্বাসভঙ্গ করবেন না, এমনটাই ধরে নেওয়া হয় সাধারণত। কিন্তু ভেবে দেখুন তো, সব সময় একদম একশো শতাংশ সত্যি বলা কি সম্ভব? মাঝেমধ্যে পরিস্থিতি এমন হয় যে একদম খাঁটি সত্যি বলা যায় না, তাতে খানিক জল মেশাতেই হয়! অর্থাৎ নিরিমিষ মিথ্যে বা হোয়াইট লাই। এ ধরনের মিথ্যে কথা বললে সম্পর্কের কোনও ক্ষতি হয় না, স্বামী বা পার্টনারকে খানিক ঠকানো হয় বটে কিন্তু তাতেও কোনও বড়ো ক্ষতির আশঙ্কা নেই। বরং মাঝেসাঝে এরকম টুকটাক ছোট মিথ্যে বললে অনেক জটিলতা এড়ানো যায়, সম্পর্ক থাকে টানটান আর পরিপাটি!
এবার প্রশ্ন হল, কোন পরিস্থিতিতে এরকম সাদা মিথ্যে বলবেন আপনি? দেখে নিন চট করে!
মেসেজ নিয়ে বিপর্যয়
এ কথা ঠিক যে সব সময় সব মেসেজের তুরন্ত জবাব দেওয়া হয়ে ওঠে না নানা কারণে। এমনকী, নিছক আলস্য থেকেও কোনও কোনও মেসেজের উত্তর দিতে ফাঁকি পড়ে যায়। উনি যখন জিজ্ঞেস করবেন কেন মেসেজের উত্তর দিলেন না, তখন ব্যস্ততার অজুহাত না দিয়ে বরং বলতেই পারেন, এইমাত্র মেসেজটা দেখেছেন আপনি! তবে এই অজুহাতটা দিতে গেলে কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপের ব্লু-টিক অপশনটা বন্ধ করে রাখতেই হবে!
কথা বোলো না
কাজের খাতিরে বা অন্য কোনও জরুরি প্রয়োজনে এমন কারও সঙ্গে আপনাকে কথা বলতে হতেই পারে যাঁকে আপনার স্বামী তেমন পছন্দ করেন না! কোনও অনুষ্ঠানে সেই মানুষটির সঙ্গে আপনার দেখা হয়ে যেতে পারে এবং তখন কথা না বলে এড়িয়ে যাওয়াটা নিতান্তই অভদ্রতা হবে। এরকম পরিস্থিতিতে পড়লে স্বামীকে সে কথা জানানোরই দরকার নেই! স্বামী জিজ্ঞেস করলে বলে দেবেন, ওই লোকটির সঙ্গে আপনার দেখাই হয়নি!
গোপন কথাটি
স্বামীর সঙ্গে দারুণ একটা রোমান্টিক প্ল্যান করেছিলেন, আর উত্তেজনা চাপতে না পেরে সে সব প্ল্যানের কথা বেস্ট ফ্রেন্ডকে বলে ফেলেছেন? অথবা কাল রাত্তিরে স্বামীর সঙ্গে ফাটাফাটি ঝগড়ার কথাটা না পেরে বান্ধবীর সঙ্গে শেয়ার করেছেন? নিজেদের দাম্পত্যজীবনের কথা বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করা সত্যিই কাজের কথা নয়, তবে এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গেও আলোচনা করার দরকার নেই। স্বামী জিজ্ঞেস করলে স্রেফ অস্বীকার করে যান!