কোন জিনিসটা না হলে আপনার সাজগোজ মোটেই সম্পূর্ণ হবে না বলুন তো? হ্যাঁ, লিপস্টিকের কথাই বলছি! গ্লস, ম্যাট, মেটালিকসের মতো একের পর এক লিপস্টিকের রং আমাদের যেমন সুন্দর করে তোলে, তেমনি লিপস্টিকের ছোঁয়ায় মনটাও ভালো হয়ে যায়। সেজন্যই ইচ্ছে করে পছন্দের লিপস্টিকের রঙের সবক’টা ফিনিশ কিনে ফেলতে! কিন্তু তেমন ইচ্ছের দাম দিতে হলে ওয়ালেটও যথেষ্টই হালকা হয়ে যাওয়ার ভয় রয়েছে! কাজেই সবচেয়ে ভালো হয় যদি একটা লিপস্টিকেই ফুটিয়ে তোলা যায় একাধিক এফেক্ট! মানে একটা লিপস্টিককেই যদি কখনও ক্রিম, কখনও গ্লসি, কখনও আবার ম্যাট ফিনিশ দিয়ে পরা যায়, তা হলে স্টাইল আর পকেট, দুটোই বজায় থাকে, তাই না? সেই কায়দাই শেখাব আপনাদের!
সবচেয়ে পছন্দের লিপস্টিকের শেডটা বেছে নিন। এই শেডটিই আপনি টিন্টেড লিপ বাম, চকচকে গ্লস আর পাউডার ম্যাটের মতো করে পরতে পারবেন। দেখুন কী করে:
টিন্টেড লিপ বাম
রিং ফিংগার অর্থাৎ অনামিকায় অল্প একটু লিপস্টিক নিয়ে ঠোঁটে পরুন। সবসময় অনামিকাই ব্যবহার করবেন, কারণ এই আঙুলের জোর সবচেয়ে কম। যেহেতু আপনি স্বচ্ছ ফিনিশ চাইছেন, তাই আঙুল দিয়েই লিপস্টিক পরুন। সরাসরি পরতে গেলে রং গাঢ় হয়ে যাবে। এবার উপরে স্বচ্ছ লিপ বাম বুলিয়ে নিন। তাতে রংটা স্পষ্ট হবে, খুব সুন্দর টিন্টেড ফিনিশ পাবেন।
চকচকে গ্লস
ঠোঁটে লিপস্টিক পরুন স্বাভাবিকভাবে। তারপর উপর আর নিচের ঠোঁটের ঠিক মাঝামাঝি ট্রান্সপারেন্ট শিমারি গ্লস পরে নিন। মাঝখানে গ্লস পরলে লিপস্টিক ধেবড়ে যাবে না, দারুণ গ্লসি ফিনিশ পাবেন।
পাউডার ম্যাট
লিপব্রাশে অল্প লিপস্টিক নিয়ে ঠোঁটে পরুন। ব্রাশ দিয়ে লিপস্টিক পরলে তা ঠোঁটের আউটলাইন অনুযায়ী একদম নিখুঁত হবে। টিস্যু চেপে বাড়তি চকচকেভাবটা তুলে দিন। এবার দ্বিতীয় কোট লিপস্টিক পরুন, ফের টিস্যু চেপে বাড়তি অংশতুলে ফেলুন। পাউডার ম্যাট ফিনিশের জন্য খুব সামান্য লুজ় পাউডার ঠোঁটে ছিটিয়ে নিলেই হল!