Now Reading
আদরের সোনামণির স্কুলে ভর্তি ইন্টারভিউ পূর্ব প্রস্তুতি

আদরের সোনামণির স্কুলে ভর্তি ইন্টারভিউ পূর্ব প্রস্তুতি

আপনার আদরের সোনামণি স্কুলে যাওয়ার উপযোগী হয়ে উঠলে মা হিসাবে একজন নারীর চিন্তার কোনও অবকাশ থাকে না। আর তাছাড়া ভাল স্কুলে ভর্তি করতে হলে প্যারেন্টস ইন্টারভিউ দিতে হয় আর সোনামনির ইন্টারভিউ তো আছেই। তাই ইন্টারভিউ প্রস্তুতি নিন এখনি।

ছেলে বা মেয়ের বয়স আড়াই বছর। এবার তো আপনার ছোটটিকে স্কুলে ভর্তি করার সময় এসে গিয়েছে। আর তাই তো আপনার ডেলি ওয়র্ক প্ল্যানারে এখন শুধু শহরের নামী স্কুলগুলোর নাম এবং সেইসব জায়গায় কবে অ্যাডমিশন ফর্ম দেবে, কবেই বা সিলেকশন লিস্ট বেরবে তারই ডিটেল নোট করা। আসলে প্রত্যেক অভিভাবকই স্বপ্ন দেখেন তাঁদের সন্তান কোনও ঐতিহ্যবাহী নামী স্কুলে ভর্তি হবে। তবে সেই স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিতে গেলে খেয়াল রাখতে হবে কয়েকটি বিশেষ দিকে। তাই আপনার পছন্দের স্কুলের সিলেকশন লিস্টে সন্তানের নাম ওঠার আগে থেকেই নিজেদের এবং অবশ্যই সন্তানকে তৈরি করুন অ্যাডমিশন ইন্টারভিউয়ের জন্য। ইন্টারভিউ বোর্ডে সঠিক ইমপ্রেশন তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর ওপর নির্ভর করে আপনার সন্তানের অ্যাডমিশন। জেনে নিন কীভাবে নিজেদের এবং সন্তানকে তৈরি করবেন সেই বিশেষ দিনটির জন্য।

কী করবেন

সন্তানকে এক-দেড় বছর বয়স থেকেই আস্তে আস্তে বিভিন্ন রং, বাংলা ও ইংরেজি হরফের সঙ্গে পরিচিত করতে শুরু করুন। বাচ্চাদের জন্য নানা রকম পিকচার বুক পাওয়া যায়। সেখান থেকেই ওর পরিচয় করান বিভিন্ন ফুল, ফল, পশু, পাখির সঙ্গে। ওর সঙ্গে সমানে কথা বলতে থাকুন। এতে ওর স্পিচ ডেভেলপমেন্ট তাড়াতাড়ি হবে। ওকে যখন ইন্টারভিউয়ের সময়ে বিভিন্ন জিনিস দেখিয়ে প্রশ্ন করবে তখন ওর উত্তর দিতে অসুবিধে হবে না।

বাচ্চাদের পড়ানোর ক্ষেত্রে অডিওভিশুয়াল মাধ্যম খুবই কাজে দেয়। তাই ওর জন্য কবিতা, সংখ্যা, অক্ষরের বিভিন্ন সিডি কিনে রাখুন। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেগুলো ওকে দেখান।

শুধুমাত্র ছবিতে নয়, ওকে নিয়ে চিড়িয়াখানা, অ্যামিউজ়মেন্ট পার্ক এবং দোকানে যান। সেখানে ওর বইতে দেখা জিনিস সামনে থেকে দেখতে পেলে ওর শেখার উৎসাহ আরও বেড়ে যাবে।

সন্তানকে কিছু সহবত শেখান। যেমন কেউ কিছু দিলে ধন্যবাদ জানানো, ‘গুড মর্নিং’, ‘গুড আফটারনুন’, ‘গুড নাইট’, কোনও ভুল করলে ‘সরি’, বলা, টিচার কোনও কথা বললে উঠে দাঁড়ানো এই সব শিখিয়ে রাখুন।

ইন্টারভিউয়ের দিন স্কুলে দেরি করে পৌঁছবেন না। দেরি করে পৌঁছলে স্কুল কর্তৃপক্ষ মনে করতে পারেন যে আপনাদের কাছে সময়ের কোনও মূল্য নেই।

কোনও ইন্টারভিউতে গিয়ে এমন কোনও বক্তব্য রাখবেন না যাতে মনে হয় সেই স্কুল আপনাদের প্রায়োরিটি নয়। বরং আপনার কথায় এবং আচরণে এমনটাই বোঝানোর চেষ্টা করুন যে সেই স্কুলে আপনাদের সন্তানকে ভর্তি করতে পারলে আপনাদের সবথেকে বেশি ভাল লাগবে।

যে স্কুলে ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন, সেই স্কুল সম্পর্কে ভাল ভাবে পড়াশোনা করে নিন, যাতে ইন্টারভিউ বোর্ডে স্কুল সম্পর্কে আপনাদের কোনও প্রশ্ন করলে অসুবিধে না হয়।

What's Your Reaction?
Excited
0
Happy
0
In Love
0
Not Sure
0
Silly
0
View Comments (0)

Leave a Reply

Scroll To Top