ডায়াবেটিসের অজানা ১০টি তথ্য

ডায়াবেটিস একটি হরমোন জাতীয় রোগ। মানবদেহ যদি ইনসুলিন তৈরী করতে না পারে বা শরীর উৎপাদিত ইনসুলিন যদি ব্যবহারে ব্যর্থ হয় তখন রক্তে চিনি বা শকর্রার উপস্থিতিজনিত অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয়। এটাই মূলত ডায়াবেটিস।
মানুষের রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ ৩.৩- ৬.৯ মিলি.মোল/লি আর খাবার পর <৭.৮ মিলি.মোল/লি। কিন্তু যদি গ্লুকোজের পরিমাণ অভুক্ত অবস্থায় ৭ মিলি.মোল/লি আর খাবার পর >১১ মিলি.মোল/লি পাওয়া যায়, তবে তার ডায়াবেটিস আছে বলে ধরে নেওয়া হয়।
সঠিক খাদ্যাভাস এবং নিয়মিত ব্যায়াম ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রন করতে সাহায্য করবে। ডায়াবেটিস হলে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করলে সব সময় সুস্থ থাকা সম্ভব। চলুন জেনে নেই ডায়াবেটিস এর অজানা ১০টি তথ্য।
১.
টাইপ ১ ডায়াবিটিস (ইনসুলিন ডিপেনডেন্ট ডায়াবিটিস) খুব ছোট বয়সেই ধরা পড়ে। এরা সাধারণত রোগা হন। এদের ভালভাবে বেঁচে থাকার জন্য ইনসুলিনের উপর নির্ভর করতে হয়। ইসুলিন না নিলে এদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
২.
টাইপ ২ ডায়াবিটিসে ব্লাড গ্লুকোজ লেভেল নিয়ন্ত্রনে রাখতে ইনসুলিন লাগতে পারে, কিন্তু এর অভাবে মৃত্যু হয় না। এই পেশেন্টরা সাধারণত মোটা হন। তবে এরা রোগা হলেও একটা ভুঁড়ি থাকে।
৩.
ডায়াবিটিসে মেডিকাল ম্যানেজমেন্টের প্রয়োজন হলে হোমিওপ্যাথি কোনও কাজ দেয় না।
৪.
কয়েক কিলো ওজন কমাতে পারলেই ব্লাড শুগার লেভেল নিয়ন্ত্রনে রাখা যায়।
৫.
রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রনে রাখতে নিয়মিত হাঁটুন।
৬.
মিষ্টি খাওয়ার অভ্যেস থাকলে সাবধান। অতিরিক্ত মিষ্টি খেলে প্যানক্রিয়াসের বিটা(যেখান থেকে ইনসুলিন নিঃসরণ হয়) সেল নষ্ট হয়ে যাতে পারে।
৭.
ওজন কমানোর জন্য জিমে যাওয়ার থেকে বেশি জরুরি ফুড হ্যাবিট পরিবর্তন করা।
৮.
যদি আপনার কোমরের মাপ ৩৬ইঞ্চি (মহিলা) বা ৪০ইঞ্চি(পুরুষ) হয়, তাহলে কোমরের মাপ কমানোর দিকে নজর দিন। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রনে রাখার সবচেয়ে বড় উপায়।
৯.
ডায়াবেটিকদের জন্য সবজি, মাছ এবং চিকেন খাওয়া প্রয়োজন।
১০.
প্রসেসড খাবার যেমন, ন্যুডল, চিপস ইত্যাটি এড়িয়ে চলাই ভাল।