স্কার্ট পরিধানের ৫টি দরকারী টিপস

যদি আপনি স্কার্ট পড়তে ভালবাসেন তাহলে আপনার জন্য এই নিবন্ধটি। আমরা অনেকে নজড়কাড়া লুকের জন্য স্কার্ট পরতে ভালবাসি। স্কার্ট-র সাথে টপটা কেমন হবে, কোন ধরনের টপটা সঠিক হবে? এই সমস্ত বিষয়ে পরিস্কার ধারনা পেতে আর্টিকেলটি পড়ুন।
এখন অনেকই অফিস আদালতে সাধারন স্কার্ট পরেন। তাছাড়া গরমের ভিতর স্কার্ট আপনাকে দিতে বাড়তি আরাম। তাই পোশাক পরিধানের জন্য ভাল সুতি কিংবা লাইলেন র্স্কাট কিনতে পারেন। বাংলাদেশে কম দামে খুবই সুন্দর স্কার্ট পাওয়া যায় বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজগুলোতে। আর যদি আরেকটু কম দামে স্কার্ট পেতে চান তাহলে আপনাকে যেতে হবে ঢাকা নিউমার্কেট।
আলমারিতে কোন ধরনের স্কার্ট রাখা উচিত: অফিসে পরার জন্য আদর্শ পেনসিল স্কার্ট৷ হালকা, গাঢ় আর নিউট্রাল রঙের পেনসিল স্কার্ট কিনুন৷ বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে বা ফিল্ম দেখতে যাওয়ার জন্য আদর্শ মিডি স্কার্ট৷ একটা প্রিন্টেড সামার স্কার্ট রাখতে পারেন – হালকা মেটিরিয়ালের ফ্লার্টি স্কার্টটি পরে ছুটির দিনে দিব্যি বেরোতে পারবেন৷ আর অতি অবশ্যই রাখুন ডেনিম স্কার্ট৷ যাঁদের অফিসে ড্রেস কোড মেনে চলার ব্যাপার আছে, তাঁরা উইকএন্ডে ডেনিম স্কার্ট পরতে পারেন৷
স্কার্ট নির্বাচনের মাধ্যমে ফুটে উঠবে আপনার নিজস্ব স্টাইল: লেস বা ফ্রিল দেওয়া স্কার্ট তুলে ধরবে আপনার কোমল, ফেমিনিন স্টাইল৷ যাঁরা একটু বেশি অ্যাভেঞ্চারাস, তাঁরা পরতে পারেন চামড়ার স্কার্ট৷ খুব স্পোর্টি হলে পরুন ডেনিমের শর্ট স্কার্ট৷ অফিসে পরে যাওয়ার ক্ষেত্রে মিডি স্কার্ট সবচেয়ে ভালো৷ যে কোনও ফরমাল অনুষ্ঠানের জন্যই বাছুন হাঁটু ঝুল স্কার্ট৷ লং স্কার্ট পরে কোনও অনুষ্ঠানে গেলে খুব স্টাইলিশ লাগবে৷
কোন ধরনের টপ পরবেন সঙ্গে: স্কার্টের পাশাপাশি আপনার টপ বা ব্লাউজ়ের ভান্ডারও সমৃদ্ধ করে তোলা দরকার৷ কিছু ক্যাজ়ুয়াল টি শার্ট আর ব্লাউজ় কিনুন৷ সেই সঙ্গে রাখুন কয়েকটি বেসিক রঙের ট্যাঙ্ক টপ৷ স্টাইলিশ ভি নেক ব্লাউজ়ও রাখতে পারেন৷ সাদা ড্রেস শার্ট, ডেনিম শার্ট আর সলিড কালারের অফ শোল্ডার টপও খুব কাজে আসে৷
জুতো: কালো পাম্প, স্টিলেটো, ন্যুড ওয়েজ হিল, স্ট্র্যাপি স্যান্ডাল, কেডস, ফ্ল্যাট পাম্পস, গোড়ালি পর্যন্ত ঢাকা বুট নিশ্চয়ই আছে আপনার আলমারিতে? তা হলে চিন্তা নেই, ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে এগুলি দিয়েই নানা ধরনের স্কার্টের স্টাইলিং করতে পারবেন৷
গয়না: নানা স্টাইলের কানের ও গলার অলঙ্কার রাখুন সংগ্রহে৷ চোকার, লম্বা মুক্তোর হার, সুতোর তৈরি গয়না মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করে পরলে নানা ইন্টারেস্টিং লুক তৈরি হবে৷ অফিসে ছোট্ট একটা পেনডেন্ট বা কানের দুল পরতে পারেন, বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার জন্য আদর্শ হচ্ছে জাঙ্ক জুয়েলারি৷ আর ডেটে যাওয়ার দিন অবশ্যই পরুন মুক্তোর গয়না৷ সঙ্গে কয়েকটি ওভারসাইজ়ড এবং সূক্ষ্ম কারুকাজ করা ঘড়িও রাখা উচিত৷ মিলিয়ে-মিশিয়ে পরলে নানা ধরনের স্টাইল স্টেটমেন্ট তৈরি হবে৷
What's Your Reaction?
আমি সামিরা ইসলাম। ফেমিনাইরা-তে কন্ট্রিবিউটর হিসাবে কাজ করছি। আমার লেখা কিংবা প্রতিবেদন সম্পর্কে কোনও মতামত থাকলে আমার লেখার নিচে কমন্টে করতে পারনে।