স্বামীর সাথে ঝগড়া? সম্পর্কে ভালবাসা ফেরানোর উপায়

সব সময় স্বামীর সঙ্গে সর্ম্পক খারাপ যাচ্ছে? ঝগড়া করার সময় মনে হচ্ছে এবার বিচ্ছেদটা করা দরকার? এখনই সম্পর্কের ইতি না টানাই ভাল। স্বামী-স্ত্রীর এমন সর্ম্পক হওয়াটা উচিত নয়। স্বামীর সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সর্ম্পক বজায় রেখে সংসার গুছিয়ে নিন আপনার নিজের মত করে। তাছাড়া পৃথিবীতে এমন কোনও দম্পতি পাওয়া যাবে না, যেখানে ঝগড়া হয় না।!
একসঙ্গে যথেষ্ট সময় না কাটানো
দু’জনে একসঙ্গে কোথাও যাওয়ার কথা ছিল। শেষ মুহূর্তে স্বামী ফোন করে জানালেন অফিসে মিটিং পড়ে গেছে শেষ মুহূর্তে। আবার ছুটির দিনেও বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে বেরিয়ে পড়ছেন। এই ধরনের বেশ কিছু ঘটনা দাম্পত্যজীবনের সুখের পথে কাঁটা হয়ে ওঠে। যদি দিনের পর দিন এধরনের আচরণের সম্মুখীন হন, তা হলে আপনার অসন্তোষের জায়গাটা স্বামীকে বুঝিয়ে দিন। ঝগড়াঝাঁটি না করেও সেটা সম্ভব। প্রতিটি সিদ্ধান্ত স্বামীর কথা ভেবে নেবেন না, বরং নিজের কথাও একটু ভাবুন। আপনার সিনেমা দেখার প্ল্যান যেন ওঁর উপর নির্ভর না করে।
শ্বশুর-শাশুড়িকে নিয়ে জটিলতা
শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে কি সবসময় একটা ঠান্ডা লড়াই চলে আপনার? উলটোদিক থেকেও একই ব্যবহার ফিরে আসে? এ নিয়ে স্বামীর কাছে বারবার নালিশ করতে যাওয়াটা বোকামি। স্বামীর কাছে বারবার তাঁরই বাবা-মায়ের সম্পর্কে অভিযোগ জানালে তিনি অারও বেশি ডিফেন্সিভ হয়ে উঠতে পারেন। স্বামীর কাছে সরাসরি নালিশ করবেন না। বরং শান্তভাবে ধীরে ধীরে আপনার অসুবিধের জায়গাটা ওঁকে খুলে বলুন।
সামান্য কারণে কথা বন্ধ
রাগ হলেই কথা বন্ধ করে দেওয়ার দলে থাকেন, তা হলে একটা কথা আপনাকে বুঝতে হবে। আপনার মনের কথা উলটোদিকের মানুষটি সবসময় বুঝে ফেলবেন, এমন না হওয়াটাই স্বাভাবিক। ফলে কথা বন্ধ না করে বরং কী কারণে আপনি ক্ষুব্ধ, সেটা খোলাখুলি স্বামীকে বলুন। যাঁরা এখনও বিবাহিত নন, সেই প্রেমিক-প্রেমিকাদের ক্ষেত্রেও কথাটা প্রযোজ্য।
ভেজা তোয়ালেটা বিছানার উপর
এ প্রশ্নটার আরও রকমফের রয়েছে। ‘ঘরের মধ্যে জুতো পরে ঢুকেছ কেন’ বা ‘ফ্রিজের দরজাটা ফাঁক করে রাখলে কেন’ অথবা ‘গিজ়ারটা বন্ধ করোনি কেন’-র মতো হাজারটা অভিযোগ আপনি পেয়ে যাবেন লিস্টে। এবার কথা হল এই ‘অপরাধ’গুলোর জন্য আপনি ঠিক কতটা রাগ করবেন? সারাক্ষণ যদি এ সব ব্যাপার নিয়ে খিটমিট করতে থাকেন, তা হলে কিন্তু জীবনে এক মুহূর্তের জন্যও শান্তি থাকবে না! তাই রাগে ফেটে পড়ার আগে একটু শান্ত হয়ে বসুন আর ভাবুন, এটা কি ততটাই গর্হিত কোনও কাজ? স্বামীর এই স্বভাবটুকুর জন্য কি আপনি ওঁকে ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা ভাবেন? উত্তর যদি ‘না’ হয়, তা হলে চেেপ যান। ছোটখাটো দোষত্রুটি সবার মধ্যেই থাকে, সে সব মেনে নেওয়াই ভালো!
ঘরের কাজ নিয়ে খিটমিট
ঘরের কাজ কে কতটা করবেন তা নিয়ে দাম্পত্যসমস্যা লেগেই থাকে। পারস্পরিক অসন্তোষ জমা হতে থাকে ক্রমশ। বাড়ির কোন কাজটা কে করবেন, সেটা কথা বলে ঠিক করে নিন। সবাই একইধরনের কাজ করতে স্বচ্ছন্দবোধ করেন না, তাই বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা থাকা উচিত। আর কাজটা কেন হয়নি তা নিয়ে ঘ্যানঘ্যান করবেন না। আপনার স্বামী যথেষ্ট দায়িত্ববোধসম্পন্ন, তাই বারবার মনে করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
অফিসের চাপ
আজকাল চাকরির সময়সীমাকে ন’টা-পাঁচটার গণ্ডিেত বাঁধা সম্ভব নয়। তাই স্বামী ঘণ্টার হিসেবে কতক্ষণ বাড়িতে থাকলেন না ভেবে বরং ভাবুন কতটা কোয়ালিটি সময় আপনারা একসঙ্গে কাটালেন। মাত্র কয়েক ঘণ্টা হলেও ওই সময়টুকু পরস্পরের প্রতি পুরোপুরি মনোযোগ দিন।
শারীরিক ঘনিষ্ঠতার অভাব
ঘনিষ্ঠতা বলতে আপনি কী বোঝেন? শারীরিক ঘনিষ্ঠতা খুব জরুরি অবশ্যই, কিন্তু মানসিক ও যৌন ঘনিষ্ঠতাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। যৌনতার ক্ষেত্রে বিষয়টা একঘেয়ে হয়ে যেতে দেবেন না। মানসিক ঘনিষ্ঠতা ধরে রাখতে সারাদিনে অন্তত দশ মিনিট দু’জনে দু’জনের সঙ্গে কথা বলুন।
টাকা পয়সা নিয়ে সমস্যা
দুর্দান্ত একজোড়া জুতো কিনে এনেছেন আর স্বামী দেখেই একটা বাঁকা মন্তব্য করলেন। এর পর ঝগড়া না হয়ে পাের? সমীক্ষা অনুযায়ী টাকাপয়সা নিয়েই সবচেয়ে বেশি দাম্পত্যকলহ হয়। দরকারে নিেজর খরচের আলাদা অ্যাকাউন্ট রাখুন আর বাড়ির খরচ জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থেকে করুন।
What's Your Reaction?
আমি প্রিয়াংকা, ঘুড়তে যেতে আমার খুব ভাল লাগে। আমি সুযোগ পেলে প্রায়ই ভ্রমণ করি। নারী হিসেবে কেন আমি অদম্য থাকবো? নারী বলে আজ আমি নিজেকে আরো বিকোশিত করার সুযোগ পাচ্ছি।