বিয়ের আগে ঘটকের সাথে কি ধরনের কথা বলবেন জেনে নিন

মেয়েরা বড় হলে বাবা-মায়ের চিন্তার বাধ ভেঙ্গে যায় বিবাহ দেওয়ার জন্য। অনেকে ভালবাসার মানুষটিকে বিয়ে করতে চায় কিন্তু পারিবারিক কারণে হয়ে উঠে না। আবার কেউ কেউ প্রেম তো দূরের কথা প্রেমিক কি সেটাই জানে না। তাই বিয়ে করার আগে ঘটকের সাথে আপনার নিজের কথা বলাটাও জরুরী। কেননা সারাজীবন যে মানুষটির সাথে আপনি থাকবেন তার সর্ম্পকে জেনে নেওয়াই উত্তম। তাই বিয়ের আগে ঘটকের সাথে কি কি কথা বলা উচিত তাই নিয়ে এবারের আয়োজন।
ধৈর্য ধরে থাকুন
ম্যাচমেকারের কাছে গেলেন আর তিনি রাতারাতি আপনার জন্য রাজপুত্তুর খুঁজে এনে হাজির করলেন, ব্যাপারটা ঠিক অতটাও সহজ নয়! তাঁরা আপনাকে একের পর এক পাত্রের প্রোফাইল দেখাবেন, আপনাকেও ওঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করে যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে অধৈর্য হলে চলবে না। তাতে আপনারই ক্ষতি!
সবরকম প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য তৈরি থাকুন
ম্যাচমেকারেরা আপনাকে নানারকম প্রশ্ন করবেন। আপনার খাদ্যাভ্যাস, ধর্মবিশ্বাস, রাজনৈতিক বিশ্বাস, পছন্দ, অপছন্দ, মাসিক আয়, অভ্যেস, এমন হাজারটা বিষয় থাকতে পারে। বিরক্ত হবেন না। আপনার উত্তরের ভিত্তিতে ওঁরা সঠিক পাত্র খুঁজে বের করবেন, তাই সহযোগিতা করুন।
চেকলিস্ট নিয়ে কঠোর না হওয়াই ভালো
কেমন পাত্র পছন্দ সে ব্যাপারে যে চেকলিস্টটা বানিয়েছেন তাকে দুটো ভাগে ভাগ করে নিন। এক, কোন বিষয়গুলো না হলে চলবেই না আর দুই, কোনগুলো নিয়ে একটু নরম হওয়া যায়। আপনার চেকলিস্ট যত কঠোর হবে, সম্ভাব্য পাত্রের সংখ্যা তত কমে যাবে। তাই অনাপোশী হবেন না, তাতে অনেক বেশি পাত্রর সঙ্গে আপনার কথাবার্তা এগোবে, পছন্দসই পাত্র খুঁজে পাওয়াও তুলনামুলক সহজ হবে।
আকাশছোঁয়া প্রত্যাশা রাখবেন না
ম্যাচমেকার রাতারাতি আপনার জন্য রাজপুত্র এনে হাজির করতে পারবেন না এটা যেমন ঠিক, তেমনি তিনি যাঁকে আনলেন তাঁর সঙ্গেও যে আপনার দারুণ মনের মিল হবে তেমনটা নাও হতে পারে। সব দিক দিয়ে রাজযোটক হওয়া সত্ত্বেও বিয়ে টেকেনি, এমন উদাহরণ প্রচুর রয়েছে। পা জমিতে রেখে এগোন, প্রত্যাশা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
নিজের কথা স্পষ্ট করে জানান
কোনও পাত্রকে পছন্দ হলে সে কথা ম্যাচমেকারকে জানান। তেমনি কাউকে ভালো না লাগলে সেটাও জানান এবং কেন ভালো লাগেনি সেটাও স্পষ্ট করুন। তাতে ম্যাচমেকারের পক্ষে কাজটা আর একটু সহজ হবে।
ম্যাচমেকারকে সম্মান করুন
মাথায় রাখুন, আপনার ম্যাচমেকার একজন পেশাদার এবং তিনি আপনাকে সাহায্য করার সবরকম চেষ্টা করছেন। তিনি নিজের কাজে সফল হতেও পারেন, নাও হতে পারেন। কিন্তু সেই সাফল্যের মাপকাঠিতে ওঁর প্রতি আপনার আচরণ পালটাবেন না। ওঁকে, ওঁর পেশাকে সম্মান করুন ও সেইভাবে কথা বলুন।
What's Your Reaction?
আমি সামিরা ইসলাম। ফেমিনাইরা-তে কন্ট্রিবিউটর হিসাবে কাজ করছি। আমার লেখা কিংবা প্রতিবেদন সম্পর্কে কোনও মতামত থাকলে আমার লেখার নিচে কমন্টে করতে পারনে।